করোনায় জেরবার দেশ। অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে ২০ লক্ষ কোটি আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পাঁচ ধাপে তার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই প্যাকেজ ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা নজরদারির জন্য করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
আজ থেকে দেশে লকডাউন ৪.০ শুরু হয়েছে। শিথিল করা হয়েছে বিধি-নিষেধ। এদিকে ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজে পরিযায়ী সহ গরিব দেশবাসীকে বিনামূল্য়ে রেশন দেওয়া থেকে একশ দিনের কাজে বরাদ্দ বৃদ্ধি, কৃষি, শিল্প ক্ষেত্রে সংস্কারের ঘোষণা সহ একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্য়াকেজের অর্থ কোন খাতে কত ব্যয় হবে- জেনে যাওয়ায় তা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা। তবে, মোদী এই প্য়াকেজ রূপায়ণের লক্ষ্যে আজই মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মন্ত্রিগোষ্ঠীতে রয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, রেলমন্ত্রী পিযূস গোয়েল ও অসামরিক পরিবহণমন্ত্রী হারদ্বীপ পুরী।
আরও পড়ুন- LIVE: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড, মোট পজিটিভ ৯৬,১৬৯
পাঁচ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজের থেকে বেশি আর্থিক সহায়তার কথা জানিয়েছেন তিনি। মোট ২০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকার প্যাকেজ তিনি ঘোষণা করেছেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাতে উপকৃত হবেন বলে দাবি সীতারমণের। ফলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের এতে ভূমিকা থাকবে বলে মোদীর এই বাড়তি উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও বিরোধী শিবিরের দাবি আর্থিক প্যাকেজে গোটাটাই ভাঁওতা। সংস্কার ও নতুন ঘোষণার একাধিক বিষয় মোদী সরকার আগেই জানিয়েছিল বা বিবেচনাধীন। বিরোধীদের দাবি এই সঙ্কট থেকে বেরতে মানুষের হাতে নগদ যোগানের প্রয়োজন ছিল। ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে চাহিদা তৈরি হত, ফলে অর্থনীতি চাঙা হতে পারতো। কিন্তু, প্যাকেজের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঋণ ও সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। তাতে পরিযায়ী সহ স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের কোনও লাভ হবে না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন