দেশের পুলিশ বিভাগে আমূল সংস্কারের ভাবনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গোটা দেশে পুলিশকর্মীদের ইউনিফর্মের রং একই হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। হরিয়ানার সূরজকুণ্ডে দু'দিনের চিন্তন শিবিরের শেষ দিনে এমনই ধারণার কথা জানিয়েছেন মোদী।
Advertisment
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এদিন চিন্তন শিবিরে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, “গোটা দেশে পুলিশকর্মীদের একটিই ইউনিফর্মের ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি চাপিয়ে দিতে চাই না। এটি পরিকল্পনার স্তরেই আছে। এটি ৫, ৫০ বা ১০০ বছরেও ঘটতে পারে। শুধু এটা নিয়ে ভাবুন।” মোদী এদিন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে সারা দেশে পুলিশের পরিচয় অভিন্ন হওয়া উচিত।
অপরাধ ও অপরাধীদের মোকাবিলায় রাজ্যগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা এখন একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অপরাধ আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিকস্তরেও ঘটছে। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অপরাধীরাও এখন আমাদের সীমানা ছাড়িয়ে অপরাধ করার ক্ষমতা রাখে। এই হিসেবে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রের সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" তিনি আরও বলেন, “সুরজকুণ্ডের এই চিন্তন শিবিরটি সমবায় ফেডারেলিজমের একটি চমৎকার উদাহরণ। রাজ্যগুলি একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে। একে অপরের থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে এবং দেশের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে।"
আজকের দিনে অপরাধীদের পাকড়াও করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা 5G যুগে ঢুকে পড়েছি। একইসঙ্গে মুখের স্বীকৃতি প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ প্রযুক্তি, ড্রোন এবং সিসিটিভি প্রযুক্তিতে আরও উন্নতি করতে হবে। আমাদের অপরাধীদের থেকে আরও ১০ ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে। সাইবার অপরাধ হোক বা অস্ত্র বা মাদক চোরাচালানের জন্য ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার, এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আমাদের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।"
অপরাধ দমনে রাজ্যে-রাজ্যে বিভিন্ন আইনেরও সংস্কারের কথা এদিন বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য সরকারগুলিকে পুরনো আইনগুলি পর্যালোচনা করা এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেগুলির সংশোধন করারও আহ্বান জানিয়েছেন মোদী। আইন-শৃঙ্খলা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে ধেয়ে আসা চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় সব সংস্থার সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য এদিন সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।