যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। আগে থেকেই জল্পনা ছিল, তাঁর এই জম্মু-কাশ্মীর সফরের উদ্দেশ্য হবে, উন্নয়নের ডালিতে উপত্যকাকে ভরিয়ে দেওয়া। সেই মতোই রবিবার তাঁর জম্মু সফরে উপত্যকাবাসীকে একগুচ্ছ উন্নয়ন উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মুর পাল্লি গ্রাম থেকে উদ্বোধন করলেন একের পর এক, মোট ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।
জাতীয় পঞ্চায়েতিরাজ দিবস উপলক্ষে পাল্লি গ্রামের মঞ্চ থেকেই দেশের সমস্ত গ্রাম সভাকে শোনালেন কাশ্মীরের উন্নয়নের বার্তা। বুঝিয়ে দিলেন, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তৃণমূলস্তরে জঙ্গিপনা এখন অতীত। সেখানে বইছে গণতন্ত্রের হাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'এই বছরের পঞ্চায়েতিরাজ দিবস জম্মু ও কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে। এটি একটি বড় পরিবর্তন। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে গণতন্ত্র জম্মু ও কাশ্মীরের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমি এখান থেকে আপনাদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি।'
সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান। এই প্রথমবার কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা জম্মু-কাশ্মীরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তা-ও আবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো ইসলামি রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিজেপি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে বিনিয়োগের রাস্তা সুগম করেছে। রবিবার সেটাই যেন আরও স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- কেন ১,৪০০-রও বেশি স্কুটার ফিরিয়ে নিল ওলা ইলেকট্রিক?
জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ এলে বারবারই নাম উঠে আসে পাকিস্তানের। যাদের উসকানি, কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তির আবহ তৈরি করে রাখে বলেই নয়াদিল্লির অভিযোগ। যেন, উসকানির জবাব উন্নয়নে দিতেই রবিবার প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল বাছা হয়েছিল পাকিস্তান-সীমান্তবর্তী জম্মুর সাম্বা জেলার পাল্লি গ্রাম। যেখানে তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্রণ পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই পৌঁছে যাওয়া গণতন্ত্রের সাক্ষী হিসেবেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। যাঁদের সাক্ষী রেখে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিনিয়োগকারীরা তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করতে চলেছে উপত্যকায়।
যা দেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জম্মু-কাশ্মীরে উন্নয়নের এক নতুন গল্প লেখা চলছে। বহু বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যখন আমরা এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের কথা বলি, তখন আমাদের লক্ষ্য থাকে সংযোগ, লক্ষ্য থাকে দূরত্বের সেতুবন্ধন। আমাদের লক্ষ্য হল, সব মরশুমেই জম্মু-কাশ্মীরে যোগাযোগের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখা।'
Read story in English