বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া রাজ্যগুলোকে ভ্যাকসিনের সতর্কতামূলক ডোজের ওপর জোর দিতে আহ্বান জানান। একইসঙ্গে করোনা সতর্কতা বাডা়নোর কথা বলেন। আর, এদিনই করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ধ্যায় শীর্ষস্তরের মন্ত্রীগোষ্ঠীর সদস্য ও সরকারি শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করোনা রুখতে সর্বাত্মক চেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনে করোনা বাড়ছে। সেকথা মাথায় রেখে দেশজুড়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা বা জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের সময় রাজ্যগুলোকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি জনগণ যাতে কোভিডবিধি মেনে চলেন, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেন। বৈঠকে জনবহুল স্থানে মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, 'করোনা এখনও শেষ হয়নি। চলমান নজরদারি ব্যবস্থা তাই জোরদার করা দরকার। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর এবং স্টাফ-সহ হাসপাতালের পরিকাঠামোর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। যাবতীয় কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা হাসপাতালগুলোয় রাখতে হবে।'
আরও পড়ুন- কোভিডবিধি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা ভাইরাল, ‘জাল’ জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষে ভাষণ দিয়ে মান্দাভিয়া বলেছেন, বিমানবন্দরে আগত আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের ওপর করোনা পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে পরীক্ষা চলছে। আসন্ন উত্সব এবং ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতা গ্রহণ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলোকে বলা হয়েছে, যাতে তারা যথাযথভাবে কোভিডবিধি মেনে চলে। জনবহুল স্থানে শারীরিক দূরত্ববিধি, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারের মত বিধি যাতে সঠিকভাবে মানা হয়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে চিনে ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে আগামী কয়েক মাসে দেশটিতে ১০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যু হতে পারে। ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট BF.7 চিনের করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এই BF.7-এর তিনটি সংক্রমণের ঘটনা ভারতে এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমটি সেপ্টেম্বরে ওড়িশায়, দ্বিতীয়টি সেপ্টেম্বরে এবং তৃতীয়টি নভেম্বরে গুজরাটে।
তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, গুজরাটে ওই সাব-ভেরিয়েন্টের দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। তার মধ্যে সেপ্টেম্বরে ভাদোদরায় এবং নভেম্বরে আহমেদাবাদে। দুটি ক্ষেত্রেই উভয় রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে বৃহস্পতিবার করোনার ১৮৫টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩,৪০২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাতেই চিন্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Read full story in English