বর্তমানে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে। ব্যাপক তাপমাত্রায় নাকাল হচ্ছেন আমজনতা। অতীতে এতটা গরম পড়ত না। এমনই কথা এখন বলাবলি করতে শুরু করেছেন সাধারণ নাগরিকরা। কেউ দোষ দিচ্ছেন পরিবেশ দূষণের ওপর। কেউ বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তবে, নানা মুনির নানা মত থাকলেও গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে সকলকেই। তার মধ্যেই সামনে আসছে বর্ষা। আর, বর্ষা মানেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা। এটা বছর বছরই ঘটে। এসব কথা মাথায় রেখে, কীভাবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তার উপায় ভাবতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে, সরকারকে ভাবতে হচ্ছে আসন্ন বর্ষার সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সাধারণ মানুষের সমস্যা হলে, কারণ যাই হোক না-কেন, সাধারণত সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। ইতিমধ্যেই তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাট নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতি থেকে মুখ বাঁচাতে ইতিমধ্যেই উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। তবুও এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের বিভ্রাট রোখা সম্ভব হয়নি। তাই দ্রুত উপায় খুঁজতে মরিয়া মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই দীর্ঘস্থায়ী এবং ঘন ঘন তাপপ্রবাহে এপ্রিল মাসে দেশের প্রধান অংশগুলোকে প্রভাবিত করেছে। পশ্চিম রাজস্থান, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- সাম্বায় ১৫০ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গ! অমরনাথ যাত্রায় পাক নাশকতার ছক ভেস্তে দিল BSF
তার মধ্যেই আবার সামনে বর্ষার ভ্রুকুটি। গত কয়েকবছরের মতো এবারও দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে। এমনই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। সম্প্রতি, কালবৈশাখীতে ও পশ্চিম ঝঞ্ঝায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চল। তবে, সেসব সাময়িক দুর্বিপাক। ফের নিম্নচাপের সৌজন্যে দুর্বিপাক আছড়ে পড়তে পারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় রাজ্যগুলোয় দুর্বিপাক আছড়ে পড়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন কতটা কী করতে পারে, সেটাই বৃহস্পতিবার বৈঠকে খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে।
Read story in English