এখনও করোনা থেকে সুস্থ হয়নি দেশ। আক্রান্তের হার কিছুটা কমলেও কোভিড সংক্রমণ এখনও রয়েছে। এদিকে অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক রাখতে করোনাকালেই অফিস-কাছারি চালাতে হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের বহু রাজ্য ১-২ দিনের লকডাউন জারি হয়েছে। কিন্তু সেই লকডাউন আদেও সংক্রমণ ঠেকাচ্ছে কি না তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে দেশের শীর্ষ সাত করোনা আক্রান্ত রাজ্যকে লকডাউন মূল্যায়ণ করার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নভেল করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে 'ট্রেসিং এবং ট্র্যাকিং' পদ্ধতির উপর জোর দেন। মোদী বলেন, "লকডাউনে অনেকটাই লাভ হয়েছে। বিশ্বব্যাপীও এটি প্রশংসিত হয়েছে। যাইহোক, এখন আমাদের মাইক্রো কন্টেন্টমেন্ট জোনগুলিতে ফোকাস করতে হবে, এটি নিশ্চিত করবে যে এই সংক্রমণ গভীরে রয়েছে কি না। ১-২ দিনের জন্য যে লকডাউন জারি হয়েছে তা আদতেই কার্যকর হচ্ছে কি না তা রাজ্যগুলিকে মূল্যায়ন করতে হবে। এর কারণে অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সমস্যার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। রাজ্যগুলিকে আমার পরামর্শ হ'ল এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা। আরও করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসা, নজরদারি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার দিকে নজর দিতে হবে।"
আরও পড়ুন, ভ্যাকসিন তৈরির জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় অর্থ, জানাল হু
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও সম্মেলনে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। দেশের মোট অ্যাক্টিভ কেসের প্রায় ৬৩ শতাংশ কেস এবং মোট মৃত্যুর ৭৭ শতাংশ রয়েছে এই রাজ্যগুলি থেকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে যে সমস্যাগুলি ছিল তা নিয়েও রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন অক্সিজেন সরবরাহ সম্পর্কে অনেক রাজ্যের সমস্যা ছিল। জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যগুলিকে।
আরও পড়ুন, শর্ত মানল না রাফাল নির্মাতা সংস্থা, ভারতকে দেওয়া হল না প্রযুক্তি
যেহেতু এখনও করোনার বাড়বাড়ন্ত রয়ে গিয়েছে তাই সংক্রমণে রাশ টানতে জেলা ও ব্লকের স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রতিদিন ভার্চুয়াল বৈঠক করতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের যে রাজ্যে কোভিদের হার কমেছে তা নিয়েও প্রশংসার সুর শোনা যায় মোদীর গলায়। তিনি বলেন, “দেশ এখন করোনা পরীক্ষা হচ্ছে এবং করোনা মুক্ততে সর্বোচ্চ। অনেক রাজ্য খুব ভাল করোনা মোকাবিলা করেছে। আমরা এই অনুশীলনগুলি থেকে আরও শিখলাম, এবং সেগুলির সুবিধা নিয়েছি। গত কয়েক মাস ধরে ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্টে যে অগ্রগতি হয়েছে তা এই অতিমারী মোকাবিলায় আমাদের অনেক সহায়তা করছে।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন