২২ রাজ্যের ৭৫ জেলায় লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবই বন্ধ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ট্রেন চলাচল। আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবাতেও জারি নিষষেধাজ্ঞা। করোনাভাইরাসের গোষ্ঠীসংক্রমণ রুখতেই এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ। নির্দেশিকা জারি হলেও সোমবার সকালে বিধি ভেঙে বহু জায়গায়তেই সাত জনের বেশি জমায়েত লক্ষ করা গিয়েছে। এতেই অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনকে যাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁদের টুইট বার্তায় সতর্ক করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: Live: ভারতে করোনা আক্রান্ত ৪১৫, ‘লকডাউন’ না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি
টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা, ''এখনও পর্যন্ত অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁরা গুরুত্বসহকারে লকডাউনকে বিবেচনা করছেন না। অনুগ্রহ করে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষা করুন। নির্দেশিকা মেনে চলুন।' রাজ্যগুলিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, 'নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য রাজ্য সরকারগুলোর কাছেও কাছেও আর্জি জানাচ্ছি।'
এদিন, রাজ্যগুলিকে লকডাউন লাগু ও তা মানতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে বলেছে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা
করোনা মোকাবিলায় কলকাতায় সহ বাংলায় সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকেই লাগু হবে লকডাউন। রাজ্য প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, মহামারী নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ীই কিছু পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। কেউ সরকারি নির্দেশ লংঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতা, দলীয় সাংসদদের অধিবেশন এড়ানোর নির্দেশ তৃণমূলের
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা গত তিন দিনে হু হু করে বেড়েছে। শুধু রবিবারেই আরও ৮১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৫। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। বাংলাতে রবিবার আরও তিন জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। রাজ্যের দ্বিতীয় আক্রান্ত তরুণের দ্বারাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাকি তিন জনের শরীরে ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৩ হাজার।