/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/11/TQNdNKF6vzyeJfvIpwe3.jpg)
২০১১ থেকেই মোদীর 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায়
PM Modi's 2011 Post On Tahawwur Rana: ২০১১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা। অবশেষে ২৬/১১-এর 'মাস্টার মাইন্ড'কে ভারতে প্রত্যাপর্ণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশবাসী।
মুম্বই হামলার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তাহাউর রানাকে গতকাল ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদীর একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে।
মুম্বই হামলার 'মাস্টার মাইন্ড' রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে, রানা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১১ সালের পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।
US declaring Tahawwur Rana innocent in Mumbai attack has disgraced the sovereignty of India & it is a “major foreign policy setback”
— Narendra Modi (@narendramodi) June 10, 2011
এই প্রসঙ্গে, তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিদেশ নীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, "মুম্বই হামলায় তাহাউর রানাকে নির্দোষ ঘোষণা করা ভারতের সার্বভৌমত্বের অপমান এবং এটি ভারতের বিদেশ নীতির বড় ব্যর্থতা।"
আমেরিকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রশ্ন তুলেছিলেন যে আমেরিকা কীসের ভিত্তিতে মুম্বই সন্ত্রাসী ঘটনার অপরাধীদের নির্দোষ ঘোষণা করেছে?
২০১১ সালের সেই পোস্টে অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করছেন। অনেকে রানাকে ভারতে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, মোদী আছে বলেই রানাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আদালতের নির্দেশের পরপরই তদন্ত সংস্থা কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে রানাকে ১৮ দিনের জন্য এনআইএ হেফাজতে রাখা হবে। এই সময় তদন্তকারী সংস্থা ২০০৮ সালের ভয়াবহ হামলার পিছনের ষড়যন্ত্র উদঘাটনের জন্য তাকে জেরা করবে। হামলায় মোট ১৬৬ জন নিহত এবং ২৩৮ জনেরও বেশি আহত হন।