পৈতৃক ভিটে থেকে একদিন বিতাড়িত হয়েছিলেন। দেশের মাটি ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন সুদূর আমেরিকায়। সদ্য, সেই কাশ্মীরকে কেন্দ্র করেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। আর তাতেই দেশে ফেরার আকুতি বাড়চ্ছে মার্কিন প্রবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। মার্কিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উপত্যকায় ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথম সেদেশে যাত্রা করলেন তিনি। আর, প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ঘরে ফেরার ইচ্ছার কথা শোনালেন আমেরিকায় বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।
রবিবার, হিউস্টনে 'হাউডি মোদী' শো। প্রায় ৫০ হাজার অনাবাসী ভারতীয়র সামনে মোদীর সঙ্গেই হাজির হবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে আমেরিকার শক্তি শহর। বিকেলে বক্তব্য পেশের আগে সেদেশে বসবাসকারী অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসেছিলেন মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ১৭ জনের প্রতিনিধি। তাদের অনেকেরই মনে এখনও গত শতাব্দীর আটের দশকের মাঝামাঝি সময়কালের স্মৃতি দগদগে। সেই সময় থেকেই শুরু হয় ভূস্বর্গ থেকে পণ্ডিতদের বিতাড়িত করার পর্ব। এদিন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি স্মারক লিপি তুলে দেন তারা।
আরও পড়ুন: ফুল কুড়িয়ে ধন্য হলেন মোদী
গ্লোবাল কাশ্মীরি পণ্ডিত অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মোদীর কাছে আর্জি জানানো হয় ঘরের ফেরার পথ প্রস্তুতির। এর জন্য বিদেশ দফতরের অধীনে একটি টাস্ক ফোর্স বা পরামর্শদাতা কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পাশাপাশি এই কমিটিতে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয় উপত্যকার সব অংশীদার ও বিশেষজ্ঞদেরও। এই কমিটির সাহায্যেই কাশ্মীরের উন্নয়ন ও পণ্ডিতদের ঘরে ফেরার কাজ চালানো হবে। এছাড়া স্মারক লিপিতে বলা হয়, উপত্যকায় শান্তি, বহুত্ববাদ ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখতেও তাঁরা প্রতিশ্রিুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা কর্তাকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা! আজব কাণ্ড ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
পরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এক প্রতিনিধি জানান , প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন সমস্যা সমাধানের। মোদী বলেছেন, 'নতুন কাশ্মীর গঠন করা হবে। যেখানে স্থান হবে সবার।' বিগত ৩০ বছর ধৈর্য ধরে থাকার জন্য কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ধন্যহবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।
জম্মু-কাশ্মীরে মানবতা হত্যা হয়েছে বলে ভারতের বিপক্ষে তোপ দেগেছে পাকিস্তান। বিশ্বমঞ্চে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে কোণঠাসা ইসলামাবাদ। কাশ্মীর পরিস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত ভারত-পাক সম্পর্ক। এই আবহেই, কাশ্মীরের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে রবিবার মোদী ও ট্রাম্পের সভার বাইরে উপস্থিত হন মার্কিন প্রবাসী বালোচ, সিন্ধ ও পাস্তু গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতার আর্জি জানাতেই দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার দরবারে হাজির হওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
Read the full story in English