ভারতীয় সংস্কৃতিতেই রয়েছে, কুটুম্বের বাড়িতে কখনও খালি হাতে যেতে নেই। সবসময় কোনও উপহার নিয়ে যাওয়াই রীতি। করোনা আবহে প্রায় দুবছর বিদেশ সফরে যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকায় জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার মার্কিন সফরে গিয়েছেন মোদী। বাইডেন-হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও আরও অনেক কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু খালি হাতে যাননি তিনি। উপহারের ডালি সাজিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জন্য তাঁর পিতামহের কিছু পুরনো নথির কপি নিয়ে গেছেন মোদী। কমলার দাদু একসময়ে ভারত সরকারের অধীনে আধিকারিক ছিলেন। এছাড়াও কাঠের হস্তশিল্পের একটি ফ্রেম এবং মীনাকারি দাবার সেট প্রথম সাক্ষাতে কমলার হাতে তুলে দেন মোদী, এমনটাই ভারত সরকার সূত্রে খবর। গোলাপী রঙের মীনাকারি দাবার সেট দেওয়ার পিছনেও একটা কারণ রয়েছে। গোলাপী মীনাকারি মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীর প্রসিদ্ধ হস্তশিল্প। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জনপদ হল বারাণসী।
দাবার সেটের প্রত্যেকটি ঘুঁটির কারুকার্য দেখার মতো। সেটের উজ্জ্বল রং বারাণসীর বৈচিত্রকে তুলে ধরে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের জন্য রুপোর গোলাপী মীনাকারি জাহাজ, এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদে সুগার জন্য চন্দন কাঠের বুদ্ধমূর্তি উপহার নিয়ে গেছেন মোদী।
আরও পড়ুন ‘কৃষি আইন নিয়ে কথা বলুন’, মোদী-বাইডেনের বৈঠকের আগে টিকায়তের টুইটে শোরগোল
অন্যদিকে, পাকিস্তান সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস। নিজে থেকেই সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে ইসলামাবাদকে কাঠগড়ায় তুলেছেন হ্যারিস। পাশাপাশি ভারতের পড়শি রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানান হ্যারিস। পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা ইন্দো-মার্কিন নিরাপত্তায় যাতে বিঘ্ন না ঘটায়। সেটা নিশ্চিত করতে ইমরান খান সরকারকে বার্তা পাঠান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন