Advertisment

'পাকিস্তানকে ধূলিসাৎ করতে ভারতের ১০ দিনও লাগবে না', হুঙ্কার মোদীর

কিছু দল ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ)- এর বিরোধিতা করছে। তাঁরা নতুন আইনের বিরোধিতা করে দলিত এবং অন্যান্য প্রান্তিক শ্রেণীদেরও এই আইনের বিরোধিতা করতে বাধ্য করছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

কার্গিল হোক কিংবা পুলওয়ামা, সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে একের পর এক হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁর প্রতিউত্তরও দিয়েছে ভারত। কিন্তু এরপরও যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার দেশের সৈনিকদের সেই কথা স্মরণ করিয়ে মোদী বলেন, "দেশের সশস্ত্র বাহিনীর দশ দিনও লাগবে না পাকিস্তানকে ধূলিসাৎ করে দিতে।" এই প্রেক্ষাপটে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে 'নিষ্ক্রিয়' শব্দেও বিঁধেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পাকিস্তানের সমস্যাকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে সেই সময়ের সরকার। আমাদের সেনাবাহিনী যখন পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল, তখন তাঁদের তা করতে দেওয়া হয়নি।"

Advertisment

আরও পড়ুন: অর্ণব গোস্বামীকে হেনস্থা, কুণালের উপর কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের

জাতীয় ক্যাডেটের বার্ষিক সমাবেশে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেন, কিছু দল ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ)- এর বিরোধিতা করছে। তাঁরা নতুন আইনের বিরোধিতা করে দলিত এবং অন্যান্য প্রান্তিক শ্রেণীদেরও এই আইনের বিরোধিতা করতে বাধ্য করছে। তবে তারা পাকিস্তানে পিছিয়ে পড়া মানুষদের দেখতে পাচ্ছেন না। যারা পাকিস্তান থেকে এসেছেন তাঁরা বেশিরভাগই এই সম্প্রদায়েরই"।

এমনকী পাকিস্তানের সংবাদপত্রের একটি বিজ্ঞাপনকে উদ্ধৃত করে মোদী বলেন, "সাফাই কর্মী পদে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়েছিল আপনারা জানেন? সেখানে বলা হয়েছে যে কেবল অ-মুসলিমরা এই কাজের জন্য আবেদন করতে পারে। এরা কারা? এরাই সেই শোষিতশ্রেণির মানুষ। পাকিস্তানে তাঁদের সঙ্গে এ জাতীয় আচরণই করা হয়"। তারপরই সিএএ সমর্থনে সুর চড়িয়ে মোদী বলেন, “আমরা ঐতিহাসিক ভুল সংশোধন করতেই সিএএ এনেছি। তবে কিছু রাজনৈতিক দল তা নিয়ে ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু করেছে। তাঁরা কার সুবিধার জন্য কাজ করছে? তাঁরা কি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা বৃদ্ধির বিষয়টি দেখতে পাচ্ছেন না?"

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জের কোনও প্রশ্নই নেই, মুকেশের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

সিএএ বিরোধিতা নিয়ে কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন যে বিরোধী দলের নেতারা যদি “নিরপেক্ষ ইতিহাসবিদ”দের “সঠিক ধরণের বই” পড়েন তবে তাঁরা দেশভাগের সত্য জানতে পারবেন। “যখন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তখন কার পরামর্শের ফলে দেশভাগ হয়েছিল? এর পিছনে কার স্বার্থ ছিল? যারা দেশের লাগাম নিয়েছিল তাঁরা কীভাবে বিভাজনে রাজি হয়েছিল?" মহাত্মা প্রসঙ্গ এনে মোদীর বক্তব্য, সিএএ সম্পর্কে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তবে সত্যটি হ'ল মহাত্মা গান্ধী নিজেই এটি চেয়েছিলেন। নমো বলেন, “স্বাধীনতার পরে ভারত হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাঁরা ভারতে এলে এই দেশ তাঁদের আশ্রয় দেবে এবং তাঁদের পাশে দাঁড়াবে। মহাত্মা গান্ধী এটিই চেয়েছিলেন এবং এটিই ছিল ১৯৫০ সালের নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি। এই দেশগুলিতে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছিল তাঁদের আশ্রয় দেওয়া ভারতের দায়িত্ব ছিল। তবে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার এই হাজার হাজার লোকদের থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে"।

Read the full story in English

pakistan PM Narendra Modi
Advertisment