/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/modi-seol-759.jpg)
মোদীর আমলে দেশ এবং গণতন্ত্র উভয়ই বিপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন অশোক গেহলত। ছবি: টুইটার।
২০১৮ সালের সিওল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ‘‘আমি সম্মানিত। এই পুরস্কার আমার নয়, দেশবাসীকে উৎসর্গ করলাম’’, সিওল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর একথাই বললেন নরেন্দ্র মোদী। পুরস্কারের টাকা নির্মল গঙ্গা প্রকল্পের কাজে লাগানো হবে বলে জানান নমো।
এদিন পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে টেনে মোদী বলেন, ‘‘১৯৮৮ সালে সিওল অলিম্পিকের কয়েক সপ্তাহ আগেই আল-কায়দা গঠিত হয়েছিল। আজ গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। পরস্পরের হাত ধরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নিশ্চিহ্ন করার এটাই সঠিক সময়।’’
The Seoul Peace Prize is dedicated to the people of India & our country’s culture of peace and harmony. https://t.co/ymUdug3JYp
— Narendra Modi (@narendramodi) February 22, 2019
আরও পড়ুন, ‘মোদীনমিক্সে’র স্বীকৃতি, সিওল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মোদী
ভারতে জীবনধারণের মানোন্নয়ন, গণতন্ত্রের ভিত আরও গভীর করা এবং বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার দেওয়া হল বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সুষমা স্বরাজের দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগীতা বাড়ানো, বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির মাধ্যমে জীবন ধারণের মানোন্নয়ন, দুর্নীতি দমনের দ্বারা গণতন্ত্রের উন্নতি সাধন করা এবং সামাজিক ঐক্য স্থাপনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ২০১৮ সালের সিওল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হল”।
আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদীর পাওয়া সিওল শান্তি পুরস্কার আসলে কী?
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সাল থেকে সিওল শান্তি পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে। প্রজাতন্ত্রী কোরিয়ায় সেই বছর ২৪তম অলিম্পিক খেলার আসর বসেছিল। এই খেলায় অংশ নিয়েছিল বিশ্বের ১৬০টি দেশ। এই খেলার মাধ্যমে এক অসাধারণ সৌহার্দ, মৈত্রী এবং শান্তির আবহ তৈরি হয়েছিল। এরপর থেকে সৌহার্দ ও মৈত্রীর উদযাপন এবং কোরিয় উপকূলে শান্তি রক্ষার জন্য কোরিয়ানদের ব্যকুলতাকে সম্মান জানিয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।