New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/modi-election-1200.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: টুইটার/ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বর্তমানে পণ্যের ওপর ৪টি স্ল্যাবে জিএসটি ধার্য করেছে কেন্দ্র। সর্বোচ্চ স্ল্যাবটি ২৮ শতাংশের। মোদী জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর কমিয়ে ১৮ %-এ নিয়ে আসা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: টুইটার/ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
খোলনলচে বদলে ফেলা হবে পণ্য ও পরিষেবা করের পরিকাঠামো। মঙ্গলবার বাণিজ্যনগরীর এক অনুষ্ঠানে সেরকমই আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৯৯ শতাংশ পণ্যকে নিয়ে আসা হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায়।
আগামী শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগে পণ্য ও পরিষেবা করের কাঠামো আবার ঢেলে সাজানোর ইঙ্গিত দিলেন নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে পণ্যের ওপর ৫টি স্ল্যাবে জিএসটি ধার্য করেছে কেন্দ্র। ০, ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। সর্বোচ্চ স্ল্যাবটি ২৮ শতাংশের। মোদী জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর কমিয়ে ১৮ %-এ নিয়ে আসা হবে।
মোদী জানিয়েছেন, ‘‘জিএসটি চালুর আগে সারা দেশে ৬৫ লক্ষ নথিভুক্ত সংস্থা ছিল। জিএসটি চালুর পর সেই সংখ্যা আরও ৫৫ লক্ষ বেড়েছে। ৯৯ শতাংশ পণ্যকে আমরা ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ শুরু করেছি।’’
আরও পড়ুন, মোদীর রাতের ঘুম কেড়ে নেব: রাহুল
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে হারের পর, ২০১৯-এর লোকসভায় নিজেদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া বিজেপি। স্বভাবতই রাতারাতি কর সংস্কারের কথা ঘোষণা করলেন মোদী।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই কৃষি ঋণ মকুব না করা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার একদিনের মধ্যেই কৃষি ঋণ মকুব করেছে রাজ্য সরকার। কংগ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপিও। কোনও ঢাক ঢোল না পিটিয়েই আসামে কৃষি ঋণ মকুব করেছে সে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকার। একই দিনে ঘোষণা করা হয়েছে আসাম ছাড়া আর কোনও রাজ্যে নাগরিক পঞ্জি তৈরি করা হবে না"।