শিক্ষার বিকাশের জন্য প্রয়োজন উদ্ভাবনী শক্তি: নরেন্দ্র মোদী

"সব ক্ষেত্রেই উদ্ভাবন ভীষণ জরুরি, কারণ এই বিষয়টি ছাড়া জীবনকে বোঝা মনে হয়।'' শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে শিক্ষা সংক্রান্ত এক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷

"সব ক্ষেত্রেই উদ্ভাবন ভীষণ জরুরি, কারণ এই বিষয়টি ছাড়া জীবনকে বোঝা মনে হয়।'' শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে শিক্ষা সংক্রান্ত এক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

"সব ক্ষেত্রেই উদ্ভাবন ভীষণ জরুরি, কারণ এই বিষয়টি ছাড়া জীবনকে বোঝা মনে হয়।" শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে শিক্ষা সংক্রান্ত এক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এ দিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাবড়েকর সহ ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, উপাচার্য, এবং সহ উপাচার্যরা ।

Advertisment

Advertisment

এ দিন স্বামী বিবেকানন্দ, আম্বেদকরের মতো একাধিক মনিষীদের উদাহরণ দিয়ে মোদী বলেন, "শিক্ষার পাশাপাশি উদ্ভাবনী ক্ষমতার উপরেও জোর দিতে হবে আমাদের৷ উচ্চশিক্ষা, উচ্চ বিচার, উচ্চ আচারের সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান করা দরকার৷ সেই সমস্যা উপলব্ধি করা দরকার৷" পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নালন্দা, তক্ষশীলা, বিক্রমশীলার মত প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, "শিক্ষার লক্ষ্যই হল সর্বক্ষেত্রে বিকাশ৷ আর সেই বিকাশ উদ্ভাবনী শক্তি ছাড়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷"

আরও পড়ুন: বারাণসীতে ভোট পেতে এবার মোদির চিঠি হাতিয়ার বিজেপির

এদিন মোদী আরও বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের জন্য, শিক্ষার পরিকাঠামো এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরায় ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।“ তিনি জানান, “স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যলয়ের ক্লাসরুম থেকে অবশ্যই জ্ঞান সংগ্রহ করবেন শিক্ষার্থীরা, তবে শিক্ষাকে ক্লাসরুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না৷  এ ক্ষেত্রে দেশ তথা সমাজের আসল ছবিটা জেনে তাঁদের সেখান থেকেও শিক্ষা নিতে হবে।“

এ দিন যা বলেন মোদী:

১. শিক্ষানীতিকে শিক্ষাকেন্দ্রিক করতে হবে ।

২. কাজের খোঁজ করা থেকে শুরু করে বা কর্ম সংস্থান তৈরি করা, সব ক্ষেত্রেই উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাকে উন্নতিসাধন করতে হবে।

৩. গবেষণার গুণগত মান বাড়িয়ে তুলে ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে চাহিদারগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

৪. লাইব্রেরি ভাগাভাগি বা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময়রের মতো কার্যকলাপের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

৫. নতুন এবং সংযুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মানসিক আকর্ষণ গড়ে তুলতে হবে পড়াশোনার প্রতি।

৬. সরকারি বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে পড়ুয়াদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র আরও উন্মুক্ত করতে হবে।

৭. শক্তিশালী আর্থিক মডেল তৈরি করা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের, বিভিন্ন কর্পোরেট ক্ষেত্র (সিএসআর) ইত্যাদি থেকে তহবিল সংগ্রহ করে সরকারী শিক্ষা সংস্থান তৈরি করতে হবে।

৮. সার্বজনীন মান এবং লাইফ স্কিল যুক্ত করে শিক্ষার মূল্যকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে শিক্ষার প্রচার করতে হবে।

Education