নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব বেদনা শুরু হয় কর্ণাটকের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মহিলার। বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। অ্যাম্বুলেন্সের চেষ্টা করা হলেও তা মেলেনি। এদিকে প্রসব বেদনা বাড়তে থাকায় মহিলা কাঁধে করেই বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দুরের এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিন্দার ঝড় দেশ জুড়েই। জানা গিয়েছে গ্রামবাসীরা কাঁধে কাপড়ের 'ডোলি' পরে গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কর্ণাটকের চামরাজানগরের এই ঘটনার জেরে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার ছবি আরও একবার সামনে এসেছে। ঘটনাটি জেলার দোদভানি গ্রামের ঘটনা।
আরও পড়ুন: <২৭ বছরের সম্পর্কে ছেদ! রেডিও Mirchi ছাড়লেন মীর>
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শান্তলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। যেহেতু গ্রামবাসীদের কারুর ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না, তাই কয়েকজন গ্রামবাসী এবং মহিলা সহ তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ৮ কিলোমিটার দূরে সুলভাদিতে অবস্থিত নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । দ্রুত কাপড় এবং কাঠের লাঠি দিয়ে একটি 'ডোলি' তৈরি করে মহিলাকে তাতে শুইয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন। গ্রামবাসীরা দুপুর একটায় তাদের যাত্রা শুরু করেন। সন্ধ্যা ৬ টা’য় হাসপাতালে পৌঁছান। হাসপাতালে একটি মিষ্টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন:<২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ! শতাব্দী এক্সপ্রেসে হুলস্থূল কাণ্ড>
সরকারের তরফে দুর্গম এই অঞ্চলে একটি "জন-মন" স্কিম চালু করা হয়েছে। যেখানে জরুরি প্রয়োজনে গ্রামবাসীদের ব্যবহারের জন্য ৫ টি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন ওই মহিলা অ্যাম্বুলেন্স পাননি তা জানতে জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ডাঃ কে. বিশ্বেশ্বরাইয়া বলেন, “ মহিলা এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিৎ ছিল, সরকারের তরফে গ্রামবাসীদের জন্য ৫ টি অ্যাম্বুলেন্স সব সময় মজুত রাখা হয়েছে। কোন কারণে যোগাযোগের সমস্যার কারণে মহিলার পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। যোগাযোগের বিকল্প পদ্ধতির ব্যপারে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে”।