অন্তঃসত্ত্বাকে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুতে। ব্লাড ব্যাঙ্কের গাফিলতিতেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্যের সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে সংগৃহীত রক্ত কতটা নিরাপদ, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। উল্লেখ্য, ২৪ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বাকে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর বিরুধুনাগরে স্বাস্থ্য দফতরের জয়েন্ট ডিরেক্টর আর মনোহরন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সাত্তুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই অন্তঃসত্ত্বা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকায় চিকিৎসকরা রক্তের প্রয়োজনের কথা বলেন। একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে আনা রক্তই তাঁকে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায় যে, রক্তদাতা এইচআইভি-তে আক্রান্ত। মহিলার রক্তপরীক্ষাতেও জানা যায়, তাঁর শরীরেও ওই ভাইরাস ঢুকেছে।
আরও পড়ুন, অবৈধ শিকারের দায়ে গ্রেফতার আন্তর্জাতিক গল্ফার জ্যোতি রণধাওয়া
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে রক্ত দেওয়ার সময় ভাল করে যাচাই করে দেখেননি ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মী। যে ব্যক্তি রক্তদাতার পরীক্ষা করেছিলেন, তিনি তাঁর রক্ত ‘নিরাপদ’ বলে রিপোর্টে লিখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী ডি জয়কুমার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। জেলাশাসকও এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ওই মহিলার শরীরে এইচআইভি ভাইরাসের যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে সেজন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওযা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় ব্লাডব্যাঙ্কের চিকিৎসক, নার্স, কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে সাত্তুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা ও তাঁর স্বামী।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মহিলার স্বামী বলেন, তামিলনাড়ু সরকারই এ ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁর স্ত্রীর যাতে ভাল চিকিৎসা করানো হয়, সেই দাবিই তুলেছেন তিনি। সরকারের থেকে তিনি যে কোনও চাকরি চান না সেকথাও জানিয়েছেন মহিলার স্বামী।