বিশ্বগুরু ভারত। কেন্দ্রের কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক এই অবস্থানে ভারতকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। বহুদিন আগেই তিনি দেশের দিশা ঠিক করে দিয়েছেন। বর্তমানে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে মেতে উঠেছে ভারত। তার চূড়ান্ত লগ্নের প্রাক-পর্বে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বুঝিয়ে দিল দেশ সেই স্থানে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর ভাষণে জানালেন, ভারত কীভাবে বিশ্বকে গণতন্ত্রের প্রকৃত গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করেছে।
এই ভারত বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যেই বেশি জোর দেয়। 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি নিলে অন্তত ২০ কোটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। আর, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে লালন পালন করার জন্য। রাষ্ট্রপতির কথায়, 'আমরা ভারতীয়রা সন্দেহবাদীদের ভুল প্রমাণ করেছি। এই মাটিতে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের শিকড়ই প্রবেশ করেনি। গণতন্ত্র সমৃদ্ধও হয়েছে।' তাই এবারের স্বাধীনতা দিবস ভারতীয়দের 'ভারতীয়ত্ব' উদযাপন।
ইতিমধ্যে সেই উদযাপনে শামিল হয়ে স্মৃতিস্তম্ভগুলোকে ত্রিরঙা বাতিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যেন ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা সংরক্ষিত স্থানগুলো তার আগে ৫ আগস্ট থেকেই বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন পর্যন্ত সেই সুযোগ পাবেন দেশবাসী। বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে বিজেপি ক্ষমতায়, রাজ্য সরকারগুলো জাতীয় পতাকা বিলি করেছে। পোস্ট অফিস থেকে বিক্রি হয়েছে জাতীয় পতাকা।
আরও পড়ুন- ‘এটা কোনও মুক্তমনা সমাজের আচরণ না’, বই নিষিদ্ধ হতেই রাজীবকে লিখেছিলেন রুশদি
সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তাতেও সুনজর। স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবারের মত এবারও লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথা মাথায় রেখে লালকেল্লার প্রতিটি প্রবেশ এবং প্রস্থানের দরজায় মুখ চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ নিরাপত্তার বহুবিধ বন্দোবস্ত। লালকেল্লা সংলগ্ন অঞ্চলে বানরদের বরাবরই উৎপাত। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বানরদের উৎপাতে যাতে বিঘ্ন না-ঘটে সেজন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত বনকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। যারা নিয়ম ভেঙে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন, এমন ২৩১ জনকে লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এককথায় দেশ যেন স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের মূল অনুষ্ঠানের অপেক্ষায়। যার সূচনা হয়ে গেল রবিবার দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতির ভাষণে।
Read full story in English