সময়টা ছিল আড়াই দশকের সামান্য বেশি, ১৯৯৭-এর ৩১ আগস্ট। পাপারাৎজিরা গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করেছিলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন যুবরানি ডায়না এবং তাঁর পুরুষসঙ্গী তথা মিশরীয় ধনকুবের ডোডি আল ফায়েদকে। সেই ধাওয়া থেকে বাঁচতে প্যারিসের পঁ দেআলদা সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ডায়নার গাড়ি।
সেই দুর্ঘটনায় ডায়ানা, ডোডির সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের গাড়িচালকের । মাতৃহারা হয়েছিলেন ডায়না এবং ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লসের দুই সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরের বছর এই ঘটনা হওয়ায়, দুর্ঘটনার পিছনে নানা অভিযোগ উঠে এসেছিল। এমনকী, ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধেও ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছিল।
সেই মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছিল মঙ্গলবার রাতেও। ডায়নার ছেলে হ্যারি ও হলিউড সুন্দরী স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে। এবার অবশ্য প্যারিস নয়। পাপারাৎজিদের এই বেপরোয়া চেষ্টার সাক্ষী আমেরিকার নিউ ইয়র্ক। তবে, ধাওয়া করে আসা ওই পাপারাৎজিরা ব্রিটেনের। এমনটাই দাবি হ্যারির মুখপাত্রর। তিনি জানিয়েছেন, 'ডিউক অফ সাসেক্স' হ্যারি ও তাঁর স্ত্রীর পিছনে প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে পাপারাৎজিরা তাড়া করেছেন।
শুধু তাই নয়, হ্যারির মুখপাত্রর অভিযোগ, ধাওয়া করতে গিয়ে অভিযুক্ত পাপারাৎজি বা ছবি শিকারিরা ফুটপাথে গাড়ি নিয়ে উঠে পড়েছিলেন। যার জেরে বিভিন্নজনের একাধিক গাড়ি ধাক্কা খেয়েছে। দুই পথচারী আহতও হয়েছেন। বিষয়টি হ্যারি ও মেগান নিউ ইয়র্ক পুলিশকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁদের মুখপাত্র। এর আগে তার ছেলে অর্চির নিরাপত্তা এই সব পাপারাৎজিদের জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মেগান।
আরও পড়ুন- বাদশা-পুত্রের পিছনে লেগে এখন নিজেই বিপাকে ওয়াংখেড়ে, নার্কোটিক্স কর্তাকে সিবিআই তলব
হ্যারির সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পর্ক তেমন একটা ভালো নয় বলে বারেবারে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে ব্রিটেন ছেড়ে সস্ত্রীক আমেরিকায় থাকছেন হ্যারি। তাঁর স্ত্রী রাজপরিবারের বধূ হয়েও মডেলিং এবং অভিনয়ের পেশা ছাড়তে নারাজ। এনিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। প্রথার প্রতি সংবেদনশীল ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্যই কি হ্যারির পিছনে পাপারাৎজিদের এত বাড়াবাড়ি? ডায়নার স্মৃতিই যেন সেই প্রশ্ন তুলছে।