রেল বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে যখন বিরোধীরা সোচ্চার। তখনই বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য দরাজ মোদি সরকার। বেসরকারি সংস্থাগুলি ট্রেন চালালে তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এশিয়ার প্রাচীনতম রেল নেটওয়ার্কে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র। তার প্রথম ধাপ হিসাবে বেশ কিছু রুটে ট্রেন চালানোর বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র।
রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজের মতো ভাড়া ঠিক করতে পারবে। তাদের সেই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে রুটগুলিতে এসি বাস এবং বিমান চলাচল করে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া ঠিক করতে সংস্থাগুলিকে। প্রসঙ্গত, ট্রেনের ভাড়া বরাবরই ভারতে রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর ইস্যু। ভাড়াবৃদ্ধির জেরে বহু ক্ষেত্রে বড়সড় আন্দোলন হয়েছে দেশে। যেখানে ভারতে দৈনিক ট্রেনযাত্রীর সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার সমান এবং দেশের গরিব মানুষের পরিবহণের অন্যতম ভরসা ট্রেন, সেখানে ভাড়াবৃদ্ধি একটি বড় ইস্যু। তবে রেল পরিষেবায় কয়েক দশক ধরে গাফিলতির অভিযোগ, বেহাল দশা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্র। তাই পরিবর্তন আনতে বেসরকারি সংস্থার হাতে ট্রেন চালানোর ভার দিচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন মুর্শিদাবাদ-এর্নাকুলাম থেকে আল-কায়দার ৯ জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এনআইএ
প্রসঙ্গত, ভারতীয় রেল দেশের ১০৯টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর ভার বেসরকারি হাতে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে গত জুলাই মাসে। রেলের যাত্রী পরিষেবার মানোন্নয়নে এই পদক্ষেপ। একইসঙ্গে নয়াদিল্লি, মুম্বই, হাওড়া-সহ দেশের একাধিক বৃহৎ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হয়েছে। আলস্টম এস এ, বম্বারডিয়ার, জি এম আর ইনফ্রাস্ট্রাকচার, আদানি এন্টারপ্রাইজের মতো বহুজাতিক সংস্থাগুলি এই ট্রেনগুলি চালানোর জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। এর ফলে রেলের ঘরে আগামী পাঁচ বছরে ৭৫০ কোটি ডলার আসবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন