করোনায় লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে বৃহস্পতিবার ভারতের আকাশে উড়েছিল প্রথম বিমান। সেই বিমানে করে ঘরে ফিরেছেন ১৮১ জন যাত্রী। যাঁদের মধ্য়ে ৪৫ জন অন্তঃসত্ত্বা ও ৪ শিশু। আটকে পড়া ভারতীয়দের ঘরে ফেরাতে বন্দে ভারত মিশনে যোগ দিয়ে বিমানের ককপিটে বসেছিলেন হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সী অংশুল শেওরন। আবুধাবি থেকে কোচিতে নিরাপদে ১৮১ জন যাত্রীকে দেশে ফেরাতে পেরে 'গর্বিত' অংশুল।
২০১৭ সালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে যোগ দেওয়া অংশুল বললেন, ''দেশের মানুষকে ঘরে ফেরানোর মুহূর্তটা গর্বের। যে মিশনই হোক না কেন, আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়...এরকম একটা বড় মিশনের অংশ হতে পেরে গর্ব বোধ করছি''। তাঁর ১৪ বছরের কেরিয়ারে এই প্রথম তাঁর বাবা-মা তাঁকে পাইলটের আসনে বসা অবস্থায় দেখল। অংশুলের কথায়, ''টিভিতে আমায় দেখে ওরা খুবই খুশি''।
আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় দিন ৩১ অগাস্টের মধ্যে, সিবিআই আদালতকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
৫ মে সন্ধ্য়ায় অংশুল, তাঁর সহ-পাইলট রিজভিন নাসির ও ৪ জন কেবিন ক্রু মেম্বারকে আবু ধাবি-কোচি বিমানের বিষয়ে জানায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানে ওঠার আগে তাঁদের ভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেন এরনাকুলাম মেডিক্য়াল কলেডের একদল ডাক্তার।
বিমানের কেবিন ক্রু-ইন-চার্জ দীপক মেনন বলেন, ''যাত্রীরা খুবই সহযোগিতা করেছেন। সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনেছেন। বোর্ডিংয়ের সময় ওঁদের মুখে হাসি ছিল না। মনে হয়, খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবতরণের পর ওঁদের মুখে হাসি দেখে খুব তৃপ্তিবোধ করেছি আমরা। এটা সত্য়িই গর্বের মুহূর্ত ছিল আমাদের কাছে''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন