সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) প্রকাশিত খবর 'জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক এবং ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ করে।' পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে প্রসার ভারতী। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা চরমে। এই প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে পিটিআই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে 'জাতীয়বাদ বিরোধী' তকমা দিয়েছে প্রসার ভারতী।
Advertisment
দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রসার ভারতীর নিউজ সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমীর কুমারের তরফে শনিবার পিটিআইয়ের মার্কেটিং প্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল, 'পিটিআই প্রকাশিত খবর জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।' চিঠিতে বলা হয় যে, 'সামগ্রিকভাবে পিটিআইয়ের কার্যকলাপ বিবেচনায় করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুত জানানো হবে।'
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে চিঠির প্রপ্তি স্বীকার করা হয়েছে। জানানো হয়েছে যে, 'প্রসার ভারতীর চিঠি পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।'
দিন কয়েক আগেই ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সং ওয়েইডংয়ের সাক্ষাৎকার পিটিআই প্রকাশ করে। সেখানে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছিলেন ওয়েইডং। ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ ও নির্মাণ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্ত্রব্য করেননি চিনা রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, পিটিআইতে সাক্ষাৎকারেই ওয়েংডং গালওয়ান সংঘর্ষে চিনা ফৌজের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
১৯৪৭ সালে পিটিআই প্রতিষ্ঠিত হলেও দু'বছর পর থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। চার স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টার সহ বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালন বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৬ জন। প্রতি বছরই বোর্ডের চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়। পাঞ্জাব কেশরীর সিইও ও প্রধান সম্পাদক বর্তমানে পিটিআই পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান। দেশের অন্যতম বৃহৎ সংবাদ সংস্থা পিটিআই।