৫ রাজ্যের পর এই প্রথম সিএএ বিরোধিতায় বড় পদক্ষেপ করল কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এবার সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হল পুদুচেরী বিধানসভায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে পুদুচেরী বিধানসভায়। উল্লেখ্য, এর আগে কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় পাস হয়েছে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব।
Advertisment
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নয়া নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রিসভা। সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘এই আইন সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আবেগের পরিপন্থী। এই প্রথম এমন কোনও আইন আনা হল, যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করার কথা বলা হয়েছে। এই আইন দেশের সহিষ্ণুতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য বিপজ্জনক’’।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম কেরালা বিধানসভায় প্রস্তাবনা পাস করা হয়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ’ ধারার বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনেই বাম সরকার কেরালা বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে। সিএএ ইস্যুতে কেরালার পথে হেঁটে প্রস্তাব পেশ করে পাঞ্জাবের অমরিন্দর সরকারও। সিএএ ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে শিরোমণি অকালি দল। বিধানসভায় অমরিন্দর সিংয়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে তারা। যদিও সংসদে সিএএ-র সমর্থনেই ভোট দিয়েছিল শিরোমণি অকালি দল। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয় রাজস্থান বিধানসভায়। পাশাপাশি এনপিআর আপডেট করার জন্য যে তথ্যগুলি চেয়েছে কেন্দ্র তা প্রত্যাহার করার আবেদনও জানানো হয়। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হয় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব।