পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় সাফল্যর কাছাকাছি পৌঁছল তদন্ত, বৃহস্পতিবার এমনই বিবৃতি জানিয়ে দিল জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা (এনআইএ)। পাশাপাশি তাঁরা এও জানিয়ে দেয় যে এই হামলায় অভিযুক্ত ইউসুফ চোপানের বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এনআইএর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, "পুলওয়ামা হামলা মামলায় যেখানে সিআরপিএফের ৪০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন সেই মামলায় শীঘ্রই একটি অগ্রগতি হতে পারে এমন আশা করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: সেনার গুলিতে নিহত পুলওয়ামা হামলার গাড়ির মালিক
পুলওয়ামা হামলার বর্ষপূর্তির মাত্র কয়েক দিন পরেই ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির এক বিশেষ আদালত জামিনে মুক্তি দেয় ইউসুফ চোপানকে। এরপরেই এই বিবৃতি জারি করা এনআইএ-এর তরফে। তবে আদালত ইউসুফ চোপানকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ায়, এনআইএ'র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। সেদিনের হামলায় নিহতদের জন্য এই বিচার 'অপমানজনক' বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিও জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলার অনেক প্রমাণ আছে: সেনাপ্রধান
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু মাস যাবৎ তদন্তে সে অর্থে অগ্রগতি হয়নি সেভাবে। জানানও হয়েছিল অভিযুক্তরা হয় মারা গিয়েছেন, নয়তো তাঁরা পাকিস্তানে রয়েছেন। যদিও যে গাড়িটি ব্যবহার করে এই ভয়ঙ্কর আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা সেই গাড়ি এবং গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করে এনআইএ। তবে আক্রমণকারী আত্মঘাতী হামলায় মারা যাওয়ায় এবং গাড়ির মালিকও এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার সে প্রমাণ নিয়ে আর তদন্তে এগোতে পারেনি এনআইএ। এদিকে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে এই হামলার ঘটনায় গ্রেফতার সাত অভিযুক্তের মধ্যে ইউসুফ চোপানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেই মর্মেই জামিন মঞ্জুর হয় চোপানের। তবে এনকাউন্টারে আরও দুই অভিযুক্ত নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মুদাসসির আহমেদ খান পুলওয়ামা হামলায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘কে সবচেয়ে বেশি লাভবান’? পুলওয়ামা হামলার বর্ষপূর্তিতে প্রশ্ন রাহুলের
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান নিহত হন।অতর্কিতে এই হামলায় সিআরপিএফের কনভয় লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছিল।
Read the full story in English