Advertisment

"পুলওয়ামায় হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের কী লাভ?"

আপনারা প্রতিরক্ষায় এত পরিমাণ অর্থ খরচ করেন, আপনাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করুন, এ ঘটনা কী করে ঘটল, বক্তব্য পাকিস্তানি সেনা মুখপাত্রের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pulwama

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ পর পাক সেনা শুক্রবার এ নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যখনই পাকিস্তান সুস্থিতির দিকে অগ্রসর হয়েছে, তখনই কাশ্মীর বা অন্য কোথাও "সাজানো ঘটনা"র কথা শোনা গেছে। পাক সংবাদপত্র 'ডনে' এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisment

এ ব্যাপারে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এক সুরে কথা বলেছেন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তিনি বলেছেন, পাক সেনা যুদ্ধ চায় না, তবে ভারতের তরফ থেকে আসা "যুদ্ধের হুমকি" মোকাবিলা করার অধিকার রয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন, মোদী তিন কেজি গোমাংস খুঁজে পান, ৩৫০ কেজি আরডিএক্স পান না: কংগ্রেস

গফুর বলেছেন, “হামলার ঠিক পরেই ভারত কোনও প্রমাণ ছাড়া এবং কোনও কিছু ভাবনাচিন্তা না করেই পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করে। আমরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি না। আপনারা (ভারত) আমাদের যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা যুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি না, কিন্তু আপনাদের দিক থেকে আসা যুদ্ধের হুমকির জবাব দেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে।“

পুলওয়ামার ঘটনায় নিজেদের হাত ধুয়ে ফেলে গফুর বলেছেন, ভারতে সাধারণ নির্বাচন যখন আসন্ন এবং কাশ্মীরে যখন স্বাধীনতার লড়াই তুঙ্গে, তখনই এই ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, "ভারতে নির্বাচনী প্রচার চলছে, কাশ্মীরে স্বাধীনতার লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে এবং তা ভারতের হাতের বাইরে। পুলওয়ামায় হামলা করে পাকিস্তানের কী লাভ হবে! কারা এর থেকে লাভবান হবে, সে কথা বিচারের ভার আমি আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।"

পাক সেনার মুখপাত্র বলেন, হামলার দায় প্রতিবেশী দেশের উপর না চাপিয়ে ভারতের ভেবে দেখা উচিত যে পুলওয়ামায় একজন স্থানীয় কাশ্মীরি কেন এ রকম হিংস্র পথ বেছে নিল। জৈশ-এ-মহম্মদ এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, স্থানীয় যুবক আদিল দার এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন, ‘সিন্ধু, চন্দ্রভাগা, বিতস্তার জলে ভারত হাত না দিলে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই’

গফুর বলেন, "যেখানে স্থানীয় মানুষের চেয়ে বেশি সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী বসবাস করেন, সেখানে পাকিস্তানের কেউ নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে যাবে কী করে? আপনারা প্রতিরক্ষায় এত পরিমাণ অর্থ খরচ করেন, আপনাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করুন, এ ঘটনা কী করে ঘটল। হামলা ঘটেছে সীমান্তের থেকে অনেক মাইল দূরে, হামলায় স্থানীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, স্থানীয় গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, এবং হামলা চালিয়েছে স্থানীয় এক কাশ্মীরি যুবক।"

pakistan
Advertisment