Advertisment

শেষমেশ গ্রেফতার, পুণে পুলিশের জালে আরিয়ান-মামলার সাক্ষী গোসাভি

আরিয়ানের সঙ্গে তার সেলফি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই তাকে এনসিবি আধিকারিক ভেবে ভুল করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Pune Police ‘nab’ Kiran Gosavi, NCB’s ‘independent witness’ in Aryan case

আরিয়ানের সঙ্গে গোসাভির এই সেলফি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পুণে থেকে গ্রেফার আরিয়ান খান মামলার সাক্ষী কিরণ গোসাভি। পুনে সিটি পুলিশের জালে গোসাভি। প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর 'স্বাধীন সাক্ষী' গোসাভি। আচমকা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শাহরুখ-পুত্র গ্রেফতার হওয়ার পরে জেরা-পর্বে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন গোসাভি। সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে। অনেকেই ওই ব্যক্তিকে এনসিবি আধিকারিক ভেবে ভুল করেছিলেন। পরে জানা গিয়েছিল, ওই ব্যক্তি আসলে একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কর্ণধার। গোসাভি-আরিয়ানের সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালের পরপরই বেপাত্তা হয়ে যান গোসাভি। শেষমশ মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

Advertisment

পুণে পুলিশ গ্রেফতার করেছে গোসাভিকে। গোসাভির বিরুদ্ধে এর আগেও প্রতারণার একাধিক মামলা ছিল। জানা গিয়েছে, বেপাত্তা হওয়ার পরপরই তিনি উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে তিনি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন। বুধবার গোসাভি পুণেতে পৌঁছোন। একটি নিউজ চ্যানেলকে তিনি জানান, এনসিবি আধিকারিকদের সামনে হাজির হবেন তিনি। মুম্বইতে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে যাঁরা অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁদের সামনেই হাজির হওয়ার কথা বলেন গোসাভি।

তিনি পুণে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান বলেও জানিয়েছিলেন। তবে পুণের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, মুম্বই যাওয়ার আগেই পুণে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা গোসাভিকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ্য, কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। NCB অভিযানে গোসাভির জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পরপরই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

জানা যায়, পুণের কসবা পেঠের বাসিন্দা চিন্ময় দেশমুখ গোসাভির বিরুদ্ধে ২০১৮-এর ২৯ মে ফরাসখানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিদেশে চাকরির নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয় গোসাভির বিরুদ্ধে। থানায় এফআইআরে ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় হোটেল ম্যানেজমেন্টের চাকরি সম্পর্কে একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করেছিলেন গোসাভি।

সেই বিজ্ঞাপন দেখে দেশমুখ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। গোসাভি তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিনি মালয়েশিয়ায় দেশমুখকে চাকরি দেবেন। তারপরে নভেম্বর ২০১৭ থেকে থেকে মার্চ ২০১৮-এর মধ্যে বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে তাকে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩.৯ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করতে বলেছিলেন।

আরও পড়ুন- সুপারস্টার দেবের নামে এবার চায়ের দোকান খাস কলকাতায়, যাবেন নাকি?

যদিও গোসাভি চিন্ময় দেশমুখ নামে ওই ব্যক্তির চাকরির ব্যবস্থাও করেননি, বা টাকাও ফেরত দেননি। দেশমুখের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ গোসাভির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ এবং ৪২০ ধারা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে। গত ১৩ অক্টোবর কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে পুণে সিটি পুলিশ। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর শেরবানো কুরেশি নামে গোবান্দির এক বাসিন্দাকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। সেই মহিলা গোসাভির সহকারি হিসেবে কাজ করতেন। প্রতারণার টাকা ওই মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা রেখেছিল গোসাভি। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও গোসাভির নামে প্রতারণার আরও তিনটি মামলা রয়েছে।

Read full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment