পঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালা খুনে প্রথম গ্রেফতারি। প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীকে খুনের জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদকোটের বাসিন্দা মনপ্রীতকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। ধৃতের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগেই মনপ্রীতকে আটক করেছিলেন তদন্তকারীরা। দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২৯ মে পঞ্জাবের মানসা জেলায় সিধু মুসেওয়ালেক লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। সোমবারই ঘটনার তদন্তে নেমে দেহরাদুন থেকে ৬ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। আটকদের মধ্যে ছিল মনপ্রীতও। দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবশেষে মনপ্রীতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মনপ্রীত পঞ্জাবের ফরিদকোটের বাসিন্দা। গায়ক খুনে হামলাকারীদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছিল ধৃত মনপ্রীত, এমনই খবর পুলিশ সূত্রের।
আরও পড়ুন- চোখের জল আর পরিবারের হাহাকারের মধ্যেই মুসেওয়ালার অন্ত্যেষ্টি, দেহে উদ্ধার ২৪টি বুলেট
যদিও মনপ্রীত নিজে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল না বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে এবার হামলাকারীদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিন সিধু মুসেওয়ালা খুনে ধৃত মনপ্রীতকে মানসা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও এখনও পর্যন্ত হামলাকারীদের নাগাল পায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন- মুসেওয়ালার খুনের নেপথ্যে গোল্ডি ব্রার, গ্যাংস্টার সম্পর্কে এই ৫ তথ্য চমকে দেবে
মঙ্গলবারই মানসায় তাঁর গ্রামে গায়ক-অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
তাঁর দেহ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪টি বুলেট। ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, বুলেটগুলির বেশিরভাগই তাঁর বুক এবং পেটে ঢুকেছিল। গত ২৯ মে মানসা জেলাতেই গুলিবিদ্ধ হন এই জনপ্রিয় গায়ক। এদিন তাঁর শেষকৃত্যে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি আশপাশের এলাকা থেকেও অনুগামীরা এসেছিলেন। মুসেওয়ালার বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।
Read story in English