ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত রয়েছে। ফের তা চালু করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করল আম আদমি পার্টির নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব সরকার। আপ সরকারের তরফে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার দাবি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K)৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে, ৭ ই আগস্ট, ২০১৯-এ ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে সকল প্রকারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করে। পাঞ্জাবের কৃষিমন্ত্রী কুলদীপ সিং ধালিওয়াল চলতি বছরের ১৪-১৫ জুলাই বেঙ্গালুরুতে রাজ্যের এক সম্মেলনে এই দাবিটি উত্থাপন করেন।
পাঞ্জাব ছাড়া আর কোন রাজ্য এই দাবি তোলেনি।
সম্মেলনে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। যে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয় সেই সম্মেলনে তার মধ্যে, রয়েছে ভারত-পাক বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরুর দাবিও। পাঞ্জাবের মন্ত্রী ধালিওয়াল পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। যদিও এই সম্মেলনে পাঞ্জাব ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য এই জাতীয় কোনও দাবি পেশ করেনি বলেই সূত্রের খবর।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ ই আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তান "একতরফা" ভাবে ৭ ইআগস্ট, ২০১৯ এ ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করে। তবে পরবর্তীতে সীমিত সংখ্যক বাণিজ্যের অনুমতি মেলে।
আরও পড়ুন: < প্রমাণের অভাবেই ‘রেড কর্নার নোটিসে’ না ইন্টারপোলের! গুরপতবন্ত সিং পান্নুন মামলায় ধাক্কা খেল ভারত >
এর আগে, পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার ঠিক একদিন পর ভারত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯-এ পাকিস্তানের কাছে মোস্ট ফেভারড নেশন (MFN) মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয়। এই হামলায় ৪০ জন সেনা জওয়ান নিহত হয়। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার পাকিস্তান থেকে রপ্তানির উপর শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করেছিল।
ভারত ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানকে ‘মোস্ট ফেভারড নেশনের’ মর্যাদা দেয় এবং ইসলামাবাদও ২রা নভেম্বর, ২০১১-এ দিল্লিকে একই মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত "অকার্যকর" ই থেকে যায়।