জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা বলতে যা বোঝানো হয়, তা বছরে একবার হয়। মন্দির চত্বরে রয়েছে স্নান মন্দির। সেখানে প্রভু জগন্নাথ দেবকে ১০৮ ঘটিভরা জল দিয়ে স্নান করানো হয়।
রাত পোহালেই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এবছর বুধ এবং বৃহস্পতিবার এই দু'দিন পড়েছে উভয় যাত্রা। আর বৃহস্পতিবার পালিত হলো জগন্নাথদেবের নবযৌবন দর্শন। জ্বর শেষে নতুন রূপে ধরা দিলেন জগন্নাথদেব। প্রস্তুতি নিলেন শুক্রবার রথে ওঠার।
Advertisment
শেষ বেলার প্রস্তুতিতে বুধবার থেকে সব পান্ডারা হাত হাত মিলিয়ে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে যাঁরা একবার রথে আসীন জগন্নাথদেবকে দর্শন করেন, তাঁদের আর পুনর্জন্ম হয় না। রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের বড় উৎসব বলতে ছিল স্নানযাত্রা। এমনিতে প্রতিদিনই মন্দিরে জগন্নাথের সামনে থাকা আয়নাকে স্নান করানো হয়।
কিন্তু, জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা বলতে যা বোঝানো হয়, তা বছরে একবার হয়। মন্দির চত্বরে রয়েছে স্নান মন্দির। সেখানে প্রভু জগন্নাথ দেবকে ১০৮ ঘটিভরা জল দিয়ে স্নান করানো হয়। রীতি অনুযায়ী, স্নানের পরই প্রভু জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। যা থেকে মুক্তির পর রথযাত্রার আগের দিন নবযৌবন লাভ হয় শ্রীজগন্নাথের।
শুক্রবার মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যাওয়ার জন্য জগন্নাথ দেবের রথ প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তার আগে বৃহস্পতিবার রথযাত্রার ট্রায়াল রানও হয়ে গেল। এবছর ১ থেকে ৫ জুলাই জগন্নাথদেব দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রাকে নিয়ে গুন্ডিচা মন্দিরে থাকবেন। ১২ দিনের উৎসবের নবম দিনে ফিরে আসবেন মূল মন্দিরে।
মন্দিরের পান্ডারা জানিয়েছেন, এবছর রথযাত্রা নিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ অন্যবারের তুলনায় একটু বেশি। করোনার কারণে গত দুই বছর পুরীর রথযাত্রায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল না। এবছর দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে। সেকথা মাথায় রেখে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রথযাত্রার মূল নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তিন হাজার কমান্ডো মোতায়েন থাকবে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া যাত্রাপথ সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। যাতে কন্টোল রুমের আধিকারিকদের কাছে প্রতিটি ছবি পৌঁছয়।রাত পোহালেই রথযাত্রা, শেষবেলার প্রস্তুতির সঙ্গেই প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে পুরী