ফের বাড়ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ। দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। তবে, শেষ কয়েক মাস সেটা না-চলার মতই। অথবা বন্ধ ছিল বলা যায়। সেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশ সেনাকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত যুদ্ধে রাশিয়াকে কার্যত পর্যুদস্ত হতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুতিন বলেছেন যে তিনি পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন করতে চান। আর, সেটাই তাঁর লক্ষ্য। সূত্রের খবর, তিন লক্ষ সেনা জওয়ানকে যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। সঙ্গে অবশ্য তিনি ইউক্রেনের সহযোগী আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোকেও হুমকি দিয়েছেন।
পরমাণু অস্ত্রে শক্তিধর রাশিয়া। নিজেদের অঞ্চল রক্ষায় পূর্ণ শক্তির ব্যবহার করবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। যার অর্থ, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা থেকেও রাশিয়া পিছপা হবে না। জাতির উদ্দেশ্যে পুতিনের এই ভাষণ বুধবার রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে। এর একদিন আগেই পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বাসিন্দারা গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
এর আগে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ রাশিয়াকে গণভোট নিয়ে সতর্ক করেছিল। বলেছিল যে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল গ্রাস করার মস্কোর চেষ্টা যুদ্ধের গতিবৃদ্ধির মঞ্চ তৈরি করবে। তারপরও শুক্রবার লুহানস্ক, খেরসন, আংশিকভাবে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে গণভোট শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের জামিনের আর্জি খারিজ, পুজোটা জেলেই কাটাবেন অনুব্রত মণ্ডল
তার মধ্যেই পুতিন আবার ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন। ন্যাটো গোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিদের বিবৃতিকে হাতিয়ার করে এই অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পালটা হুমকি দিয়ে পুতিন বলেছেন, 'যাঁরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমাদের দেশেও ধ্বংসের বিভিন্ন উপায় আছে। সেই উপায় বা উপাদানগুলো ন্যাটো দেশগুলোর তুলনায় আরও আধুনিক। যখন আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখোমুখি হয়, রাশিয়া এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে আমরা সেই সমস্ত উপায় ব্যবহার করব।'
Read full story in English