নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। এবার লখনৌতে বন্ধ করে দেওয়া হল একটি নৃত্যের অনুষ্ঠান। বুধবার কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন-ইন্ডিয়ার সপ্তম সম্মেলনে দিল্লি-ভিত্তিক কত্থক নৃত্যশিল্পী মঞ্জরি চতুর্বেদীর অনুষ্ঠানে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল লখনৌ। বুধবার তিনি যখন সেখানে অনুষ্ঠান করছিলেন সুফি কত্থক গানের উপর, তখনই বন্ধ করে দেওয়া হয় নৃত্যানুষ্ঠান।
ঠিক কী হয়েছে লখনৌতে?
নৃত্যশিল্পী মঞ্জরি চতুর্বেদী শুক্রবার বলেন, "আমি ভেবেছিলাম এটা একটা টেকনিক্যাল সমস্যা। কিন্তু পরে স্টেজে বসে কয়েক মিনিটের মধ্যে বুঝতে পারলাম যে না এটা কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা নয়।" তিনি বলেন, ইউপি সরকারের সংস্কৃতি বিভাগ দ্বারা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের কর্মকর্তারা সামনের সারিতে ছুটে এসে বলতে থাকেন "কাওয়ালী না চালেগি, স্টেজ পার কাওয়ালি নেহি হোগি।" প্রসঙ্গত গওহর জান এবং রাধা-কৃষ্ণের একটি গানের পরই কাওয়ালি শুরু হয়েছিল। যে গানে মঞ্জরি চতুর্বেদী পারফরম্যান্স করেছিলেন তা ছিল পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলি খানের গাওয়া।
আরও পড়ুন: রাজনীতি নয়, দায়বদ্ধতার টানেই এসেছি পার্ক সার্কাসে: পি চিদাম্বরম
এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ মঞ্জরী চতুর্বেদী বলেন, "৩৫ দেশে ২৫ বছর ধরে অভিনয় এবং নৃত্যানুষ্ঠান করে এসেছি। কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে আমাকে থামানো হয়নি। কোনও মঞ্চ থেকে এমনভাবে নামিয়ে দেওয়াও হয়নি। তবে আমি আমার নাচের মাধ্যমেই এই গঙ্গা-যমুনি তেহজীবের কথা বলতেই থাকব।" মঞ্জরীদেবী বলেন, "আমি হতবাক হয়ে গেছি। অনুষ্ঠানটির ৪৫ মিনিট হওয়ার পর হঠাৎ কর্মকর্তারা এসে মাইকের প্লাগ খুলে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রোগ্রামটি করতে দিলেন না তাঁরা।"
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির সামনে সাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের সাংসদ হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকরা বলেন, অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার সঙ্গে ধর্ম বা গানের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও মঞ্জরি চতুর্বেদী বলেন, "পরবর্তীতে ওখানকার কর্মকর্তারা আমার কাছে এসে বলেন, এটা হওয়া উচিত ছিল না। তবে আপনি অনেক শালীনতা মেনে বিষয়টিকে পরিচালনা করেছেন।"
Read the story in English