Tahawwur Rana NIA Custody: ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড তাহাউর রানাকে এনআইএ ইতিমধ্যে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে। রানাকে ভারতে আনার পর, তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হামলার ষড়যন্ত্রের পিছনে থাকা অজানা নানান তথ্য বের করতে মরিয়া। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে অনেক অজানা তথ্য হাতে এসেছে NIA-এর। রানাকে দিল্লির সিজিও কমপ্লেক্সে এনআইএ সদর দপ্তরের ভিতরে একটি হাই সিকিউরিটি সেলে রাখা হয়েছে। তার সুরক্ষার জন্য ২৪X৭ চলছে নজরদারি। সেলে বন্দী রানা এনআইএ-এর থেকে তিনটি জিনিসের দাবি করেছে।হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড তাহাউর রানা তার সেলের ভিতর একটি কোরান, কলম এবং কাগজ চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রানার অনুরোধে, তাকে কোরানের একটি কপি দেওয়া হয়েছে। দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তে দেখা গেছে রানাকে।
শুক্রবার সকালে আদালতের সিদ্ধান্তের পরপরই এনআইএ কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তাহাউর রানাকে ১৮ দিনের জন্য এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময় NIA ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পিছনে পুরো ষড়যন্ত্র উদঘাটনের জন্য তাকে বিস্তারিত জেরা করা হবে। যেখানে মোট ১৬৬ জন নিহত এবং ২৩৮ জনেরও বেশি আহত হন।"
২৬/১১ মুম্বই হামলার সাথে মাস্টারমাইন্ডকে ইতিমধ্যে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি NIA হেফাজতে রয়েছেন। এর মধ্যে হিন্দু সেনা শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি চিঠি লিখে পাকিস্তানি জঙ্গি রানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। হিন্দু সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তের পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে তাহাউর রানাকে অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া উচিত এবং জেলে যাতে কোন ধরণের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা না পায় সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত'।
হিন্দু সেনা তাদের চিঠিতে লিখেছে যে ২৬/১১ হামলায় তাহাউর রানার জড়িত থাকার বিষয়টি কারও কাছে গোপন নয়। এই হামলা ছিল ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হানা। যেখানে ১৬০ জনেরও বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায় এবং শ'য়ে শ'য়ে মানুষ আহত হয়। এই আক্রমণ পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
হিন্দু সেনা বলেছে যে তাহাউর রানাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভারত বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে সক্ষম হবে যে ভারত যে কোনও পরিস্থিতিতেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। উল্লেখ্য, তাহাউর হোসেন রানা একজন পাক বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসবাদী, আমেরিকায় গ্রেফতারের পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে এবং এখন রানা NIA হেফাজতে রয়েছে। রানার বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সহযোগিতায় ২৬/১১ হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে, যেখানে মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং নরিমান হাউসের মতো একাধিক স্থানে হামলা চালানো হয়।