মোদী সরকারের বিমুদ্রাকরণ নীতি ঘোষণার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে সরকারকে লক্ষ্য করে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি বলেন এই নীতির মধ্যে বিন্দুমাত্র সততা নেই। মোদীর ঘনিষ্ঠ সুট-বুট পরিহিত বন্ধুদের কালো টাকাকে সাদা করা ছাড়া আর কোনো মহৎ উদ্দেশ্য ছিল না এর পেছনে।
এক সাংবাদিক বিবৃতিতে রাহুল গান্ধী বলেছেন, "২০১৬-এর ৮ নভেম্বর ইতিহাসের পাতায় কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। দু'বছর আগে এই দিনে প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষের ওপর এই নিষ্ঠুর নীতি চাপিয়ে দিয়েছিল। মাত্র একটা ঘোষণায় সারা দেশ থেকে ৮৬% নগদ তুলে নিয়েছিলেন মোদী। মুখ থুবড়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি।
ভারত আগেও বেশকিছু মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। অধিকাংশই বহিরাগতদের ঘটানো। কিন্তু নোটবন্দির অভিনবত্ব এখানেই, এটি একটি আত্মঘাতী, নিজের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঘটনা। খুচরো এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রীতিমতো ধ্বংস করে দিয়েছে এই বিমুদ্রাকরণ নীতি। এই নীতির ফলে দরিদ্রের থেকেও দরিদ্র মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নিজের সামান্যতম সঞ্চয় ব্যাঙ্ক থেকে বদলানোর জন্য দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। এভাবে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আমরা যেন তাঁদেরকে না ভুলি"।
नोटबंदी सोच-समझ कर किया गया एक क्रूर षड्यंत्र था। यह घोटाला प्रधानमंत्री के सूट-बूट वाले मित्रों का काला-धन सफेद करने की एक धूर्त स्कीम थी।
इस कांड में कुछ भी मासूम नहीं था| इसका कोई भी दूसरा अर्थ निकालना राष्ट्र की समझ का अपमान है|
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) November 8, 2018
কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেছেন, "২০১৬ থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের অর্থনীতিবিদ ব্যাখ্যা করেছেন কী ভাবে নোটবন্দি ভারতের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সবাই একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন,- ঘোষণার পরপর এমন নীতির স্বপক্ষে যে সমস্ত যুক্তি দেখিয়েছিল কেন্দ্র, তার একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। দেশ থেকে কালো টাকা মুছে যায়নি, সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হয়নি, এমন কী ডিজিটাল লেনদেন বাড়িয়ে মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণও বাড়ানো যায়নি।
বিমুদ্রাকরণের ফলে ১৫ লক্ষ ভারতবাসী তার কাজ খুইয়েছে। জিডিপি কমেছে বই বাড়েনি। অথচ নোটবন্দির দু'বছর পরেও আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রী অপরাধমূলক এমন এক নীতির সাপেক্ষে মিথ্যে যুক্তি দিয়েই চলেছেন। সরকারের দিক থেকে চাপা দেওয়ার সব রকম কৌশলের পরেও ভারত একদিন ঠিক বুঝবে, বিমুদ্রাকরণ শুধুই এক দুর্বল ঠিক ভাবে প্রণয়ন করতে না পারা নীতি ছিল না, বরং রীতিমতো কেন্দ্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল।
বিমুদ্রাকরণ নিয়ে সবটুকু সত্যি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। যতদিন তা না আসছে, ভারতের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।