সোমবার দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন রাহুল গান্ধী । ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদের ইডি হাজিরার আগে উত্তপ্ত দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিলেন দিল্লি কংগ্রেসের সমর্থকরা। যা ঘিরে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি।
কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীরা তাদের সেই অবরোধের ওপর হামলা চালায়। আর তাতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়ার আধিকারিক জানান, “কংগ্রেস কর্মীরা এবং দলের সিনিয়র সদস্যরা এআইসিসি অফিস থেকে বেরিয়ে এসে স্লোগান দিতে শুরু করলে, দিল্লি পুলিশ মহিলা সহ প্রায় ১৩ থেকে ১৫ জনকে আটক করে। কংগ্রেস কর্মীদের আকবর রোড, কিউ পয়েন্ট, এপিজে কালাম রোড এবং মান সিং রোড থেকে আটক করে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে,"।
অন্য একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেন, “কংগ্রেস কর্মীরা ১৪৪ ধারাকে অমান্য করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হন। তাদের আটক করা হয়েছে”। সূত্র মারফৎ খবর, প্রতিবাদের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নেন আর তাতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
রবিবারই, ডিসিপি (নতুন দিল্লি) অমরুতা গুগুলথ এক নির্দেশ জারি করে বলেন, “দিল্লিতে "সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি” এবং “ভিভিআইপি নিরাপত্তা” ব্যবস্থার কারণে কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না”। সেই নির্দেশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেন কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচী আটকাতে পুলিশ মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেট করে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে”।
কংগ্রেস সাংসদের ইডি হাজিরার আগে উত্তপ্ত দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিলেন দিল্লি কংগ্রেসের কর্মীরা। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। পুলিশ ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বচসায় ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে রাজধানীতে।
প্রসঙ্গত, বেআইনি অর্থিক লেনদেনের অভিযোগে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীকে নোটিশ দিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন < চার রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যেই সেরা, কোন ছকে রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়জয়কার বিজেপির >
২ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেই দিন পরিবর্তন করে আজ অর্থাৎ ১৩ জুন রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। সোনিয়া গান্ধী বর্তমানে কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইডির এই অতি সক্রিয়তা ঘিরে দেশ জুড়েই প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দেয় জাতীয় কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে পায়ে হেঁটে ইডির দফতরে গেলেন রাহুল গান্ধী। তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের ইডি’র দফতর পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আগামী ২৩ জুন এই একই মামলায় সোনিয়া গান্ধীকেও তলব করেছে ইডি।