Advertisment

চার রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যেই সেরা, কোন ছকে রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়জয়কার বিজেপির

বিজেপির প্রবীণ নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং পীযূষ গোয়েল দু'জনেই ভোটে জিতেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp_rajyasabha

ইতিহাসে এই প্রথমবার রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা গত ৩১ মার্চ ১০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার ফের রাজ্যসভা নির্বাচনের ফল বেরোল। আর, সেখানেও জয়জয়কার গেরুয়া শিবিরেরে। সাংসদ সংখ্যা কমে যদিও ৯৫ হয়ে গেল। কিন্তু, কড়া টক্করের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সফল গেরুয়া শিবির।

Advertisment

কারণ, চার রাজ্যের মধ্যেই তিন রাজ্য কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় দল জিতেছে। বরং, বলা ভালো, তাদের বিধায়ক সংখ্যার ভিত্তিতে যতগুলো আসন পাওয়ার কথা, তার চেয়ে একটি করে আসন বেশি পেয়েছে। আর, সেটা তিন রাজ্যেই। অথচ, মহারাষ্ট্রে দল ক্ষমতায় নেই।

বিজেপির প্রবীণ নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং পীযূষ গোয়েল দু'জনেই ভোটে জিতেছেন। কর্ণাটক থেকে জিতেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আর, মহারাষ্ট্র থেকে গোয়েল। তবে, চার রাজ্যের মধ্যে রাজস্থানে ধাক্কা খেয়েছে দল। আগামী বছর, ২০২৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন।

ইতিমধ্যে সেই নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে দল। তার আগে কিন্তু, দেখা গেল, ধোলপুরের বিধায়ক শোভারানি কুশওয়াহ কংগ্রেস প্রার্থীকে ক্রস ভোট দিলেন। যাতে হেরে গিয়েছে দলের সমর্থিত প্রার্থী। বিজেপি অবশ্য এজন্য শোভারানির কাছে জবাবদিহি তলব করেছে। কিন্তু, শোভারানির যাই হোক। তাতে তো আর রাজ্যসভার ফল বদলাবে না!

যে ১৬টি আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে বিজেপি কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে তিনটি করে, রাজস্থানে একটি এবং হরিয়ানায় দু'টিতে জিতেছে। হরিয়ানা থেকে জয়ী দুজনের মধ্যে রয়েছেন কার্তিকেয় শর্মা, যিনি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অজয় মাকেনকে পরাজিত করেছেন।

শর্মা একজন মিডিয়া ব্যারন। তাঁকে শাসক জোট বিজেপি এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) সমর্থন করেছেন। বিধানসভার পাটিগণিত অনুসারে, বিজেপির ২০টি আসনে জেতার কথা ছিল। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে, তারা ২৩টি আসন পেয়েছে।

গত ৩১ মার্চ ১৩টির মধ্যে রাজ্যসভায় বিজেপির চারটি আসনে জিতেছিল। তার ফলে রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ১০১। এর মধ্যে মনোনীত সদস্যরাও ছিলেন। ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম রাজ্যসভায় কোনও দলের সাংসদের সংখ্যা বেড়ে ১০১ হয়েছিল। অবশ্য, এই কৃতিত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে মহাধাক্কা সেনার, বিরাট জয় পদ্মের, পাঞ্জাবে হাত সাফল্য পেলেও অধরা হরিয়ানা

এপ্রিলেই পঞ্জাবে দলের সাংসদ শ্বেত মালিক অবসর নেন। তারপর রাজ্যসভায় দলের সাংসদের সংখ্যা নেমে হয় ১০০। শুক্রবার নির্বাচনের পর রাজ্যসভায় দলের সাংসদ সংখ্যা হবে ৯৫। রাষ্ট্রপতি আবার নতুন করে সাংসদ মনোনীত করবেন, তখন সদস্যসংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

বর্তমানে রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্যদের সাতটি আসন খালি আছে। মনোনীত সদস্যরা মনোনীত হওয়ার ছ'মাসের মধ্যে কোনও দলে যোগ দিতে পারেন। ফলে, সেই সময় ফের রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

Read full story in English

Rajya Sabha Election bjp
Advertisment