দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গত সপ্তাহে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পাথরবৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী থেকে। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে দিল্লির ওই এলাকা। তার মধ্যেই চলে ধরপাকড়। সেখানে বেছে বেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় দু'হাত নেই এমন মুসলিম যুবককেও পাথর ছোড়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এরপর বুধবার ওই এলাকায় স্থানীয় সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট বেআইনি, অভিযোগ তুলে বুলডোজার দিয়ে তা ভেঙে দিয়েছে উত্তর দিল্লি পুরসভা এবং পুলিশ। তারই প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অভিযোগ করেছেন, 'রাষ্ট্রীয় মদতে দরিদ্র এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চলছে। তাদের নিশানা করা হচ্ছে। এটি ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধের ধ্বংস। তবে, বিজেপি কিছুতেই এই সংখ্যালঘুদের অন্তরের ঘৃণাকে বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করতে পারবে না।'
শেষ পর্যন্ত অবশ্য উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং পুলিশ দীর্ঘক্ষণ ওই এলাকায় বুলডোজার চালাতে পারেনি। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট সেখানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মুসলিমদের সংগঠন জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, 'এভাবে বুলডোজার চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি অসাংবিধানিক। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে এখন যেভাবে ধ্বংসলীলা চলছে, তা আসলে দাঙ্গা ছাড়া আর কিছুই নয়।'
আরও পড়ুন- চিকিৎসায় বিশ্বগুরু হতে এবার আয়ুশে জোর কেন্দ্রের, বিশেষ ভিসার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
আদালত বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। তিনি অভিযোগ করেন, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও বুলডোজার চালানো হলে তা হবে আসলে সংবিধানের ওপর বুলডোজার চালানো। এনিয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধস্তিও হয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের। দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমি পার্টির সরকার। কিন্তু, উত্তর দিল্লি পুরসভায় বিজেপির ক্ষমতা বেশি। আর, দিল্লি পুলিশও কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। ফলে, পুলিশ ও প্রশাসন এক্ষেত্রে বিজেপির নির্দেশই মানছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
Read story in English