প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী। শেষনকে নিরপেক্ষ, সম্মানীয়, সাহসী ও ভয়মুক্ত বলে সম্বোধন করেন রাহুল। টুইটে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, 'বর্তমেন পরিস্থিতি ভিন্ন। কিন্তু, এমন এক সময় ছিল যখন নির্বাচন কমিশনাররা নিরপেক্ষ, সম্মানীয়, সাহসী ও ভয়মুক্ত হতেন। এঁদের মধ্যে অন্যতম টি এন শেষন। তাঁর পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।'
বিগত বেশ কয়েক ক্যানসারে ভুগছিলেন টি এন শেষন। রবিবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ চেন্নাইতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শেষন। মৃত্যুকালে তাঁর তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। অবসরের পরে ১৯৯০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ৯৬ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শেষন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একাধিক সংস্কার করেছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে তোলেন। ভোটার পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটদান তাঁর আমলেই চালু হয়। ভোট প্রার্থীদের নির্বাচনী আদর্শ আচরণ-বিধিও তাঁরই অবদান। কর্তব্যপরায়ণতার জন্য ১৯৯৬ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষন
শেষনের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সঙ্গেই বর্তমান সময় নির্বাচন কমিশনারদের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। কেন হঠাৎ রাহুললের টুইটে এই খোঁচা? ভোট ঘোষণার পর থেকে প্রদানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি আদর্শ আচারণবিধির ভাঙার অভিযোগ হয়। প্রথমে সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়নি। পরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশন। এরপরই তারা জানিয়ে দেয় মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আদর্শ আচারণবিধির ভাঙার কোনও প্রমাণ নেই। কমিশনের ওই মনোভাব ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে সরব ছিলেন রাহুল গাঁধী। সরাসরি কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, 'নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। তারা একটি দলের হয়ে কাজ করছে। যে দল সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে সক্রিয় রয়েছে।'
১৯৯৭ সালে কে আর নারায়ণনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে দাঁড়ান তিরুনেল্লাই নারায়ণা শেষন। কিন্তু, পরাজিত হন তিনি। তাঁকে অবশ্য দেশ মনে রাখবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার কারিগর হিসাবেই।
Read the full story in English