বছরের শুরুর দিন থেকেই বাড়ল রেলের ভাড়া। দূরপাল্লার ট্রেনে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া বাড়ানো হল। অবশ্য, সাধারণের কথা বিবেচনা করে লোকাল ট্রেনের ভাড়া বাড়ায়নি রেল। বাতানুকূল কামরার সব শ্রেণিতেই গড়ে কিলোমিটার পিছু ৪ পয়সা হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভাড়া বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে রেলমন্ত্রক।
গত পাঁচ বছরে ভাড়া বাড়েনি রেলের। এদিকে মন্দা রেলের কোষাগার। তাই দূপাল্লার ট্রেনের যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণ করতে চাইছে মন্ত্রক। তবে, এদিয়ে সমস্যার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রেল মন্ত্রকের অধিকারিকরা। বাতানুকূল কামরার সব শ্রেণিতে গড়ে কিলোমিটার পিছু ৪ পয়সা হারে ভাড়া বাড়ানো হলেও, দূরপাল্লার ট্রেনের সাধারণ শ্রেণির জন্য ভাড়া বেড়েছে কিলোমিটার প্রতি ২ পয়সা হারে। এছাড়া অসংরক্ষিত কামরার জন্য ১ পয়সা হারে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্ধিত হারে রেলের ভাড়া।
এই বৃদ্ধির ফলে, এক্সপ্রেস ট্রেনের বাতানুকূল শ্রেণণির ভাড়া প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বাড়ল। সাধারণ শ্রেণিতে বৃদ্ধির পরিমান প্রায় ২৫ টাকা। এছাড়া, ইন্টার সিটি এক্সপ্রেসে ৫০০ কিলোমিটার যাত্রার জন্য প্রায় ৫ টাকা হারে বাড়ল ভাড়া।
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, আগে টিকিট কাটা থাকলে কোনও সমস্যা নেই। তবে, আজ টিকিট কাটলে গুণতে হবে বর্ধিত ভাড়া।
আরও পড়ুন: রেল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের, ছাঁটা হল বোর্ডের বহর
গত সপ্তাহেই ভাড়বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল রেল। বলা হয়েছিল রেলের যাত্রী ও পণ্যভাড়া বাস্তবসম্মত করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছিল, ভাড়া বাড়তে পারে ১০ শতাংশ হারে। তবে, সেই তুলনায় এই বৃদ্ধি নগন্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালে ১৪.২ শতাংশ হারে যাত্রীবাহী ট্রেন ও ৬.৬ হারে পণ্যবাহী ট্রেনে শেষ ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল। রেলের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। সেই কারণেই এই ভাড়া বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতিতে চলছে রেল। গত ৬ মাস আগেই রেল বোর্ডের তরফে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু, কেন্দ্রের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। মোদী সরকারের সবুজ সঙ্কেত মিলতেই ২০২০ সালের প্রথম দিন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়নো হল। তবে এই সামান্য হারে যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।
Read the full story in English