ব্যস্ত রেলপথের দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থার হাতে

রেল খরচ কতটা কমবে সেই নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও যাত্রী সুরক্ষা বাড়ার আভাস দিয়েছে ভারতীয় রেল। মূলত কর্মীদের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার ওপরই রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রেল খরচ কতটা কমবে সেই নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও যাত্রী সুরক্ষা বাড়ার আভাস দিয়েছে ভারতীয় রেল। মূলত কর্মীদের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার ওপরই রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল রেলমন্ত্রীর

ভারতীয় রেলে কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রবেশ ঘতার খুর নতুন নয়, তবে কোন কোন দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে সেই ভাবনাচিন্তাতে এখনও রয়েছে ভারতীয় রেল। শতাব্দী ও রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের দায়িত্ব যে বেসরকারি হাতে যেতে পারে, তার আভাস দিয়েছে রেল। সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি রূপরেখা প্রস্তুতির কাজ চলছে এখন। এর ফলে রেলের খরচ কতটা কমবে সেই নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও যাত্রী সুরক্ষা বাড়ার আভাস দিয়েছে ভারতীয় রেল।

Advertisment

সবচেয়ে ব্যস্ত সেক্টর, দিল্লি-লখনউ, মুম্বই-শিরডি, বেঙ্গালুরু-চেন্নাই, আহমেদবাদ-মুম্বই এবং ত্রিবানদ্রম-কান্নুর। এই ব্যস্ত রেলপথগুলির দেখাশোনা করার জন্যই মূলত বেসরকারি সংস্থার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে ভারতীয় রেল।

আরও পড়ুন: ঝাঁকুনি কমাতে নতুন ভাবনা ভারতীয় রেলে

ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে সফরের সময় কমিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে নির্ঝঞ্ঝাট করতে চায় রেল। দিল্লি ও লখনউ এর মধ্যবর্তী ৫০০ কিমির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি মালগাড়িও যাতায়াত করে, এই রুটে শতাব্দীর সময় লাগে ৬.৩০ ঘণ্টা। অন্যদিকে মুম্বাই-শিরডি রুটে ৩৩০ কিলোমিটারের জন্য রয়েছে দুটি সুপারফাস্ট ট্রেন। দূরপাল্লার ট্রেনগুলি বেশি সময় নিয়ে থাকে। এই সমস্ত সমস্যা নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চায় ভারতীয় রেল। সূত্রের খবর, এই দুটি রুটেই প্রথমে বেসরকারি সংস্থার হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে রেল। রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল সময়ের অপচয় কমানোও এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।

Advertisment

আরও পড়ুন: আয় বাড়াতে যাত্রীদের মাসাজ দেবে ভারতীয় রেল!

আইআরসিটিসি দুটি ট্রেন চালানোর কথা চিন্তা করেছে। ১০০ দিনের মধ্যেই একটা ট্রেন তারা চালাবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। আইআরসিটিসি বিভিন্ন সুযোগসুবিধার সঙ্গে টিকিটের দাম কম রাখার কথাও ভাবছে। প্রকল্পে সাড়া পাওয়া গেলে বেসরকারি সংস্থার হাতে টিকিট বিক্রি এবং অন্যান্য পরিষেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সব মহলের পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়নের মতামতও নেবে রেল বোর্ড।

Read the full story in English

kolkata