বিধ্বস্ত কেরল। করোনাকালে কেরলের উপর এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। প্রবল বৃষ্টি কেরল-জুড়ে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ প্রান্ত জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়। বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গল ও বুধবার কেরলের ৯টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায়-দফায় ভারী বৃষ্টি কেরলের অধিকাংশ জেলায়। মঙ্গলবারের পর বুধবারও এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশুড়, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়াইনাড, কান্নুড় ও কাসারোগেদে জেলায় প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কেরলের জেলায়-জেলায় জলছবি। পূর্ব মধ্য আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেরলের বেশ কয়েকটি জেলায় তুমুল বৃষ্টি চলছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়। জল জমে বিপর্যস্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। মঙ্গলবার কেরলে বৃষ্টি-সংক্রান্ত একাধিক দুর্ঘটনায় দুই শিশু-সহ কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার সকালে মালাপ্পুরম জেলার কারিপ্পুরে প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। অন্যদিকে, কোল্লাম জেলায় জলের স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক নির্মাণ শ্রমিকের।
মঙ্গলবারের পর বুধবারও কেরলের মোট ১৪ জেলার মধ্যে ৯ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরম-সহ কোল্লাম,পথনমথিত্তা, আলাপ্পুঝা ও কোট্টামে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর আগে ১০ অক্টোবরই আইএমডি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেরলে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল। ১২-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত কেরলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির জেরে কেরলের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। কোঝিকোড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি জল জমে বেহাল দশা কোঝিকোড়ের গ্রামাঞ্চলগুলিতে। এছাড়াও সমুদ্র লাগোয়া এলাকাগুলির দশা আরও বিপজ্জনক। বহু বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ছটে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ, বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার, কানে চোট মনোজ তিওয়ারির
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছে প্রশাসন। জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে দুর্গতদের সরানোর কাজ চলছে পুরোদমে। কোঝিকোড়, কোয়িলান্ডি, ভাদাকাড়ায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। জেলায় আগামী চারদিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন