সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক ঘণ্টার জন্য মুলতবি রাখা হল রাজ্যসভারর অধিবেশন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ''কিংবদন্তি গায়িকার দীর্ঘ কর্মজীবন গত ৭৫ বছর ধরে মুক্ত ভারতের সঙ্গে সমান্তরালভাবে চলেছিল, সময়ের বিচার ও দুর্দশাকে ধারণ করেছে তাঁর জীবন।''
রবিবার প্রয়াত হয়েছেন 'কোকিলকণ্ঠী' লতা মঙ্গেশকর। রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রতি এদিন বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য সংসদের উচ্চকক্ষের। কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে এদিন এক ঘন্টার জন্য রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
এদিন লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিচারণায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ''দেশ একজন কিংবদন্তি প্লেব্যাক গায়িকা, একজন সহানুভূতিশীল মানুষ, ভারতীয় সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র শিল্পের জগতে একজন অসামান্য ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে। তাঁর মৃত্যু সত্যিই যেন একটি যুগের সমাপ্তি। তাঁর বিদায় সঙ্গীত জগতে একটি অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে।"
আরও পড়ুন- ‘দিদি আর আমি…!’, লতার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি আঁকড়ে আবেগঘন পোস্ট আশার
বিজেপির সমর্থনে ১৯৯৯ সালে সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য হয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। তবে, সাংসদ হিসাবে কোনও ভাতা তিনি গ্রহণ করেননি। একটি আরটিআই-য়ের ভিত্তিতে এই তথ্য জানাজানি হয়। সাংসদ থাকাকালীন অ্যাকাউন্টস অফিস থেকে যে পরিমাণ অর্থ লতা মঙ্গেশকরের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল তার সবটাই ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন শিল্পী। তবে ভাতা না নিলেও তাঁর মেয়াদকালে মাত্র কয়েকবারই রাজ্যসভার অধিবেশনে অংশ নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
আরও পড়ুন- বাংলা শিখতে শিক্ষক রাখেন লতা, চুটিয়ে কাজ করেছিলেন হেমন্ত-সলিল-কিশোরদের সঙ্গে
এদিন প্রয়াত শিল্পীর স্মৃতিচারণে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ''লতাজি আমাদের দেশকে সম্মিলিতভাবে এবং একে অন্যের প্রতিনিধিত্ব করার মতো করে বুনন করেছিলেন। বিভিন্ন ভাষায় তাঁর হাজার হাজার সুরেলা গান রয়েছে। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের দেশের প্রতিটি মেজাজ, মুহূর্ত এবং যাত্রাকে ধরে রেখেছেন তিনি। তাঁর বিশিষ্ট এবং দীর্ঘ কর্মজীবন বিগত ৭৫ বছর ধরে মুক্ত ভারতের মতোই সমান্তরালভাবে চলছিল। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে তাঁর মৃত্যুতে ভারত নীরব হয়ে আছে।''
Readstory in English