অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে চাই দুর্লভ গোলাপি বেলেপাথর। আর তাই খুঁজতে তৎপর রাজস্থান সরকার। কিন্তু যেখানে সেখানে সে জিনিস মিলবে না। একেবারে অভয়ারণের ভিতরে রয়েছে সেই দুর্লভ পাথর। আর সেই কারণে ভরতপুরের বন্দ বারেঠা অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষকে ফর্মান জারি করে খননকার্য শুরু করতে বলেছে রাজস্থান সরকার। বন্যপ্রাণ আইন ভেঙে সেই পাথর খুঁড়তে চায় সরকার।
প্রায় ১ লক্ষ ঘনফুটের বেশি গোলাপি বেলেপাথর বাঁসি পাহাড়পুর অঞ্চলে রয়েছে। সেই দুর্লভ পাথর দিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ হবে। যদিও খাতায়কলমে ২০১৬ সালের পর থেকে কোনও খননকার্যের অনুমোদন নেই, তবুও বাজারে দিব্যি মেলে বাঁসি পাহাড়পুরের গোলাপি বেলেপাথর। গত ৭ সেপ্টেম্বর ভরতপুর প্রশাসন ২৫ ট্রাক অবৈধ খননের বেলেপাথর বাজেয়াপ্ত করার পর থেকে বাজারেও এখন অমিল সেই পাথর।
আরও পড়ুন সিবিআই তদন্তে রাজ্য়ের সম্মতি বাধ্য়তামূলক, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সেই হানার পর থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় বেলেপাথর সরবরাহ বন্ধ হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দেয় রাজস্থান সরকারকে। তারা বলে, রাজস্থানেরে কংগ্রেস সরকারকে বুঝতে হবে এই রাম মন্দির নির্মাণ গোটা দেশের জন্য মহৎ কাজ। যখনই এই কাজে কোনও বাধা এসেছে তখনই সমাধানও বের হয়েছে। বাঁসি পাহাড়পুরে খনিকে বৈধ ঘোষণা করলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন ‘বাজি পোড়ানো হিন্দু সংস্কৃতি নয়’, আইপিএস অফিসারের এই মন্তব্যের বিরোধিতা কঙ্গনার
গত ২৩ অক্টোবর রাজস্থানের খনি দফতরের যুগ্ম সচিব ও পি কাসেরা খনিকর্তা দ্রুত কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের পোর্টাল থেকে বাঁসি পাহাড়পুর ব্লককে ডিনোটিফাই করে সেখানে খননকার্য বৈধ করার নির্দেশ দেন। তবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্য কিছু বলতে নারাজ কাসেরা। তবে ভরতপুরের জেলাশাসক নাথমল দিদেল জানিয়েছেন, বেলেপাথর সরবরাহের জন্য কোনও সরকারি চিঠি তিনি পাননি। গোটা দেশেই এই পাথরের বিরাট চাহিদা। এই সিদ্ধান্ত রেভেনিউ, খনি এবং বনদফতরের যৌথ পর্যবেক্ষণের পর গৃহীত হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন