অভিযোগ অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত পদত্যাগই করলেন কর্ণাটকের জলসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি। তাঁর বিতর্কিত যৌন ভিডিও ফাঁস হতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পার সরকার। নৈতিকতার কারণেই তাঁর এই পদত্যাগ বলে জানানো হয়েছে। এদিন বিধায়কভাই বালাচন্দ্র জারকিহোলির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পত্র পেশ করেন রমেশ। সম্পূর্ণ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক বালাচন্দ্র জারকিহোলি।
Advertisment
মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে দেওয়া চিঠিতে রমেশ জারকিহোলি জানিয়েছেন, 'আমার বিরুদ্ধে ওটা সব অভিযোগ সত্যের থেকে অনেক দূরে। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্ত হোক। জানি আমি নির্দোষ, কিন্তু নৈতিক কারণে আমি পদত্যাগ করছি। দয়া করে আমার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করবেন।'
পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তারপর মন্ত্রীর এই বিতর্কিত ভিডিও-তে চাপে পড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সারেন। তারপরই তড়িঘড়ি মন্ত্রিত্ব থেকে রমেশ জারকিহোলিকে ইস্তফা পেশের নির্দেশ দেয় দল। কিন্তু, তাতে প্রথমে রাজি ছিলেন না কর্ণাটকের জলসম্পদ মন্ত্রী। গোটা বিষয়টিকে 'ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তিনি নির্দোষ, ওই মহিলাকে তিনি চেনেন না। দোষ প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করবেন তিনি। তবে, শেষ পর্যন্ত দলের চাপেই ইস্তফা দিলেন রমেশ জারকিহোলি। যদিও বিজেপির তরফে এই ইস্যুতে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
চাকরি দেওয়ার নামে সহবাস ও শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিজেপি শাসিত কর্ণাটক মন্ত্রীসভার জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ করেন এক মহিলা। ওই দিনই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে ওই মহিলা। জানান, সরকারি দফতরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন ওই মন্ত্রী, মুখ খুললেই প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু থানায় অভিযোগ করেন সমাজসেবী দীনেশ কাল্লহালি।