/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/rape-symbolic-759-1.jpg)
নাবালিকা ধর্ষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে গোটা এলাকা
ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত ঘটনা এ দেশে রোজনামচায় ঠেকেছে। ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় ঘটনা রুখতে কড়া আইন প্রণনয়ও করা হয়েছে। কিন্তু ধর্ষকদের সেভাবে যে রোখা যায়নি, তা ভুরিভুরি ধর্ষণের ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এবার তাই ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের দোষীদের কাউন্সেলিং করার কথা ভাবছে তেলঙ্গানা কারা দফতর। ধর্ষণের দায়ে সংশোধনাগারে যেসব বন্দিরা রয়েছে, তাদের জন্যই এবার কাউন্সেলিং করার উদ্যোগ নিচ্ছে তেলঙ্গানা কারা দফতর।
এ প্রসঙ্গে কারা বিভাগের ডিজি ভি কে সিং জানিয়েছেন, "ধর্ষকরা বিকৃতমনস্ক হয়। ফলে ওদের বোঝানো উচিত যে, ওদের অপরাধটা আর চার-পাঁচটা অপরাধের থেকে আলাদা। অন্য অপরাধের থেকে অনেক বেশি জঘন্য। সেজন্য, ওদের আলাদা করে রাখার কথা ভাবা হয়েছে।" হ্যাঁ, ধর্ষণের অপরাধীদের সংশোধনাগারে আলাদা করে রাখার ভাবনাও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন মুম্বইয়ের ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র
এ প্রসঙ্গে ডিজি আরও বলেন যে, অন্য অপরাধের সাজা ভোগ করা বন্দিদের সঙ্গে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত বন্দিরা একসঙ্গে থাকায়, ওরা ভাবে যে ওদের অপরাধ খুন বা ডাকাতির মতোই। ধর্ষকদের অপরাধ কতটা মারাত্মক, তা বোঝাতেই এই উদ্যোগ বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, দেশে শিশুদের ধর্ষণের ঘটনাও নেহাত কম নয়। বরং তা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে শিশুদের ধর্ষণের অপরাধীদের কাউন্সেলিং করার উদ্যোগও নিয়েছে তেলঙ্গানা কারা বিভাগ। এ প্রসঙ্গে ডিজি জানিয়েছেন যে, ধর্ষণের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আগে আলাদা করে রাখা হবে। তারপরই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ডা. সি বিনার নেতৃত্বাধীন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের একটি দল বন্দিদের কাউন্সেলিং করবে বলে জানানো হয়েছে। সে রাজ্যের সব কারাগারেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রাখার কথাও ভাবা হয়েছে। এমনকি, যেসব বন্দি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে, তাদেরও কাউন্সেলিং করানো হবে বলে জানানো হয়েছে।