Advertisment

বরফ গলল অনেকটাই, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থাকে আর্থিক সাহায্যে রাজি আরবিআই

দু'পক্ষের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চেষ্টাতেই মোটামুটি একটা সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারা গিয়েছে সোমবার। আরবিআই আইনের ৭ নম্বর ধারা নিয়ে এই প্রথম খোলাখুলি কথা হল কেন্দ্র এবং আরবিআই গভর্নরের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে ক্রমশ বাড়তে থাকা সমস্যা কিছুটা হলেও মিটল সোমবার দু'পক্ষের  মধ্যে চলা দীর্ঘ বৈঠকের পর। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থাগুলোকে আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এছাড়া রাজ্য সরকারের কিছু ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও ঋণ দেওয়ার কড়াকড়ি কিছুটা লাঘব করবে, বৈঠকের শেষে তেমনটাই জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর উর্জিত পাটেল।

Advertisment

সম্প্রতি কেন্দ্র এবং আরবিআই-এর মধ্যে এত দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠকের নজির আর নেই। ৯ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপারে রাজি হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বৈঠকে ঠিক হয়েছে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে এদের। বোর্ড অব ফিনান্সিয়াল সুপারভিশন, (বিএসএফ), আরবিআই-এর ভেতরকার এক কমিটিই এখন থেকে ঠিক করবে কোন ফার্মকে কত টাকা ঋণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন, আশা করি উর্জিত প্যাটেলের মেরুদণ্ড আছে, মোদীকে আজ তিনি তা বুঝিয়েও দেবেন: রাহুল গান্ধী

বিগত কয়েক মাসে কেন্দ্র-আরবিআই তরজা বেড়েই চলছিল একটু একটু করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এক বক্তৃতায়। বিরল আচার্য বলেন কেন্দ্র আরবিআই-এর স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, কেন্দ্র এবং আরবিআই -এর মতোনৈক্য সকলের সামনে না এনে মিটিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। সোমবারের বৈঠকে সুর অনেকটাই নরম করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর অনুযায়ী শেষ চার বছরের অর্থনৈতিক পুঁজি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করে দেখবে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।

দু'পক্ষের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চেষ্টাতেই মোটামুটি একটা সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারা গিয়েছে সোমবার। আরবিআই আইনের ৭ নম্বর ধারা নিয়ে এই প্রথম খোলাখুলি কথা হল কেন্দ্র এবং আরবিআই গভর্নরের। সম্প্রতি কেন্দ্র এবং শীর্ষ ব্যাঙ্কের তিক্ততা বেড়ে চলার সময় অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম টুইট করে বলেন, “সরকার অবশ্যই কিছু একটা লুকোচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে নিশ্চয়ই একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরবিআই আইন-এর ৭ নম্বর ধারা নিয়ে সরকার শীর্ষ ব্যাঙ্ককে কী বলেছে, তা কি সরকার সর্বসমক্ষে আনবে”?

প্রসঙ্গত,  আরবিআই আইনের ৭ নম্বর ধারা আরবিআই এর ওপর কেন্দ্রের অধিকারকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

সূত্রের খবর বলছে, সোমবারের আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পাটেলের যে বৈঠক হয়েছিল, তখন থেকেই দু'জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ বেড়েছে। বরফ গলার পেছনে দুপক্ষেরই হাত রয়েছে। তবে সব সমস্যা এক দিনের বৈঠকে মেটেনি। ব্যাঙ্ক নয়, এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে ফের আলোচনা হবে ১৪ ডিসেম্বর।

তবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মোট পুঁজির ৯ শতাংশ যে শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে গচ্ছিত থাকে, তা ছাড়তে আপাতত রাজি নয় আরবিআই। কেন্দ্রের যুক্তি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে নগদের জোগান বাড়াতে তা খুবই প্রয়োজন। ২০১৬ তে উর্জিত পাটেল দায়িত্বে আসার পর থেকেই দেশের ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে পিসিএ কাঠামোভুক্ত করে রেখেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আগামী আলোচনায় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় কি না, সেটাই দেখার

Read the full story in English

RBI
Advertisment