ভুল বার্তা গিয়েছে দেশের যুবশ্রেণির কাছে। তারা ভেবেছে, সেনা নিয়োগের পদ্ধতির বদলে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। কিন্তু, তা নয়। সেনা নিয়োগ আগের মতোই চলবে। সঙ্গে, চালু হতে চলেছে 'অগ্নিপথ' পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া। 'অগ্নিপথ' বিতর্কে কার্যত জল ঢেলে মঙ্গলবার এমনই খুশির খবর দিলেন দেশের সামরিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। তাঁর কথায়, 'নতুন এই প্রকল্পটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা হয়েছে। বাহিনীর তিন শাখার মধ্যেই আলোচনা হয়েছে অগ্নিপথ নিয়ে। পাশাপাশি, আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যেও। তারপরই অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী জানান, সামরিক বাহিনীতে সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। সেই প্রয়োজনীয়তা মেনেই বহুদিন বাদে এই সংস্কার হয়েছে। ১৯৮৯ সালেই বিভিন্ন কমিটি 'অগ্নিপথ' পদ্ধতির কায়দায় নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিল। সেই মতো সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই তৈরি হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্পের রূপরেখা। তিনি জানান, 'বাহিনীর অন্যান্য নিয়োগের মত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রেও পুলিশি ভেরিফিকেশন হবে। সেক্ষেত্রে রিপোর্ট থাকতে হবে যে প্রার্থী কোনওরকম ভাঙচুর বা হিংসার সঙ্গে জড়িত নয়। সেনাবাহিনীতে অগ্নিসংযোগ এবং হিংসার কোনও জায়গা নেই।'
আরও পড়ুন- এতদিন পর নুপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন দোভাল, তুললেন আফগানিস্তান প্রসঙ্গও
লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী জানান, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের পর সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত জওয়ানদের বয়সসীমা কমে যাবে। জওয়ানরা আরও বেশি তারুণ্যে ভরপুর হবে। দেশের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়িতে তুলবে অগ্নিপথ প্রকল্প। সম্প্রতি 'অগ্নিপথ' প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্য। সেই প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী জানান, অগ্নিবীররাও সেনাবাহিনীর বাকি জওয়ানদের মত কৃতিত্বের জন্য পুরস্কৃত হবেন। তাঁদেরও বাহিনীতে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে।
শুধু তাই নয়, 'অগ্নিবীর'রা কাজ করার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষালাভ করে নিজেদের অগ্রগতি ঘটাতে পারবেন। চার বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষে তাঁরা পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থায় কাজে যোগও দিতে পারবেন। তাঁদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণও থাকবে পুলিশ থেকে আধাসামরিক বাহিনী-সহ সর্বত্র। এমনটাই জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
Read full story in English