ভারতে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যেই চার হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ সংক্রমের ঘটনা ঘটেছে দেশের ৬২ জেলায়। মোট ৭৩৬ টির মধ্যে ২৭৪ জেলা থেকে করোনা পজেটিভের হদিশ মিলেছে। সরকারি শীর্ষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দেশজোড়া লকডাউনের পরবর্তী সময়ও অতি মাত্রায় করোনা প্রভাবিত এই ৬২ জেলায় বিধি-নিষেধ জারি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। আগামী ১৪ এপ্রিল ভারতে করোনা লকডাউনের সময়সীমা শেষ হবে।
গত ২৪ ঘন্টায় দেসে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ পাড় করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অনুমান, গত ৪.১ দিনে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে। নিজামুদ্দিনের তাবলিঘি জমায়েতের ঘটনা না ঘটলে এই হারে সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারতো ৭.৪ দিনে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ৩০ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৫১ জন। আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৩২
আরও পড়ুন- LIVE: ভারতে সংক্রমিত ৪ হাজারের বেশি, মৃত ১০৯
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে যে, সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি একটি ভৌগলিক সীমানার মধ্যে আটকে রয়েছে। ফলে, ভীতির কিছি কারণ নেই। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে ৮০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হয়েছে ৬২ টি জেলা থেকে। ফলে সরকারি পর্যায়ে করোনা রোধে আক্রমণাত্মক নিয়ন্ত্রণের কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ন্ত্রণ অনেকটা ভিলওয়ারা মডেলকে অনুসরণ করে। পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
কী এই ভিলওয়াড়া মডেল
ভিলওয়াড়া মডেলকেই অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে সরকারি তরফে। রাজস্থানের এই শহরে করোনাভাইরাস রোধে আক্রমণাত্মক নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে নির্দিষ্ট এলাকাকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এইভাবেই ভিলওয়াড়ায় ভাইরাস সংক্রমণ ঠাকানো গিয়েছে। যা সাফল্য হিসাবেই দেখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিকে, করোনা আবহে এবার চাঞ্চল্যকর ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয় যে, “যদি এটা বায়ুবাহিত রোগ হতো, তাহলে আক্রান্তদের পরিবারও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতো। কিন্তু, সেটা হয়নি। হাসপাতালগুলিতেও সেইভাবে সংক্রমণ ছড়ায়নি।”
ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উটেছিল যে, এ দেশে করোনার পরীক্ষা পর্যাপ্ত পরিমানে হচ্ছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে যে রবিবারই ৮৯,৫৩৪ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এপ্রিল ৪ তারিখে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১০,০-৩৪ জনের। ফলে ক্রমেই বাড়ছে করোনা পরীক্ষার হার। শনিবার, আইসিএমআর কয়েকটি অঞ্চলে দ্রুত মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার পরামর্শক জারি করেছে। এই পরীক্ষাগুলির ফলাফল অবিলম্বে আইসিএমআরকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়াও বাড়ির বাইরে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতামূলক প্রচার, মাস্ক বিলি করা হচ্ছে সরকারের তরফে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন