Advertisment

ওরা ক্ষমতা দেখাচ্ছে: রোমিলা থাপার

আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে, এমন একটা মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি, যখন আমাদের চিন্তাবিরোধী, বিদ্দ্বজ্জনবিরোধী, অ্যাকাডেমিক বিরোধী হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
JNU, Romila Thapar

ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে (ছবি- তাশি তবগিয়াল)

 রোমিলা থাপারের সিভি চেয়ে পাঠিয়েছে জেএনইউ প্রশাসন। তাঁর এমিরেটাস মর্যাদা বহাল রাখা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য এই পদক্ষেপ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কী ভাবছেন তানিয়ে স্বয়ং রোমিলা থাপার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভয়ের কথা, চিন্তার কথা বললেন বিশ্ববন্দিত এই ঐতিহাসিক।

Advertisment

আপনার সিভি চেয়ে পাঠানো হয়েছে, কী বলবেন এ নিয়ে?

আমাকে এখন বলা হচ্ছে, মোট ১২ জনকে, যাদের বয়স ৭৫ পেরিয়েছে, তাঁদের সবাইকেই নাকি এই সিভি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত ওঁরা কেন নিলেন। দুনিয়ার কোথাও এমিরেটাস অধ্যাপকদের এমিরেটাসশিপ পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। যদি সংশ্লিশ্ট ব্যক্তি কোনও অপরাধ করে থাকেন, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাঁর এমিরেটাস মর্যাদা বাতিল করা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে এ মর্যাদা পুনর্যাচাই কোথাও করা হয় না।

জেএনইউ প্রশাসন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই নাকি এ বিষয়ে পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে এবং এই নিয়ম নাকি এমআইটি এবং হারভার্ডেও রয়েছে, যা একেবারেই ঠিক নয়। কোন বিভাগে কতজন এমিরেটাস থাকবেন তার কোনও কোটা নেই, এবং সব বিভাগে সমানুপাতে এমিরেটাসস থাকবেন, তারও কোনও যুক্তি নেই। জেএনইউ সোশাল সায়েন্স এবং হিউম্যানিটিজে বেশি ভাল, ফলে সে সব বিভাগ থেকে স্বাভাবিক ভাবেই বেশি সংখ্যক সম্ভাব্য এমিরেটাস থাকবেন। যেহেতু এটি একটি সাম্মানিক পদ ফলে সংখ্যা কোনও বিষয়ই হতে পারে না। কোনওভাবেই কোনও নতুন এমিরেটাস প্রফেসর নিয়োগ করা আটকাচ্ছে না। প্রশাসন সম্ভবত এমিরেটাস প্রফেসরের ব্যবস্থাটা বুঝতে পারেনি, সাধারণ অধ্যাপনার সঙ্গে ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেলেছে।

আরও পড়ুন, রোমিলা থাপার বনাম জেএনইউ: প্রফেসর এমিরেটাস কাকে বলে?

আসলে যারা স্কুল আর ইউনিভার্সিটি প্রশাসনের তফাৎ করতে পারে না, তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দখল নেয়, তখন এরকমই হয়। আমি কালই ভাবছিলাম, আমার সঙ্গে অন্য যে দুজন ঐতিহাসিক এমিরেটাস অধ্যাপক হয়েছিলেন, তাঁরা হলেন সর্বপল্লী গোপাল এবং বিপান চন্দ্র।

আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি যে ১৯৭০ সালে ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এমিরেটাস অধ্যাপক নিয়ে যে নিয়ম চলে আসছে, তার শর্তাবলী হঠাৎ বদল করার কথা ভাবা হল কেন। সম্ভবত নতুন সরকার তাদের পেশিশক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে, এবং যাঁরা আগে সম্মানিত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করছে।



জেএনইউ-য়ের এমিরেটাস অধ্যাপনার কাজ আমার কাছে অত্যন্ত সমাদরের বিষয় দুটো কারণে। প্রথমত অপেক্ষাকৃত কমবয়সী স্কলার ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভাবনার আদানপ্রদান করতে পারি এবং দ্বিতীয়ত যে প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজে আমি সহায়তা করেছিলাম তার সান্নিধ্য অনুভব করতে পারি। আমরা কয়েকজন শুরু থেকে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ছিলাম, বৌদ্ধিক ভাবে এবং প্রশাসনিক স্তরেও।  এই যোগাযোগটা যাতে থাকে, সারাজীবন তা চেয়ে এসেছি। কিন্তু কেউ এমিরেটাস অধ্যাপক থাকলেন কি না, তার উপরে তাঁর অ্যাকেডেমিক খ্যাতি নির্ভর করে না। এমিরেটাস মর্যাদা মানে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, যা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক দুপক্ষের উপর নির্ভরশীল।

আমরা যারা শুরুতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম, তাদের একটা আইডিয়া ছিল। আমরা ভাবতাম ভারতীয়রাও এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে পারে, যা বিশ্বমানের এবং মহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গুণ সেখানে থাকতে পারে। এ গুণগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্ত চিন্তা, মুক্ত মনে প্রশ্ন করা, বিতর্ক, আলোচনা এবং উঁচি মানের অ্যাকাডেমিক সাফল্যও। এবং অত্যন্ত খুশির ব্যাপার, আমরা এগুলো অর্জন করতে পেরেছি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদক্ষেপ এবং সাম্প্রতিক আরও কিছু পদক্ষেপ দেখে এ কথাই মনে হয় যে প্রশাসন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে তাহলে জেএনইউ এতদিন ধরে যা করেছে সেগুলোকে পণ্ড করাই এর মূল উদ্দেশ্য এবং একে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্তরে নামিয়ে আনাই এসবের লক্ষ্য।

১৯৪৭ সালে এলাহাবাদে এক কনভোকেশনে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় যদি তাদের কাজ যথাযথভাবে করে, তাহলে তা দেশের পক্ষে এবং দেশের মানুষের পক্ষে যাবে। এখনকার ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবস্থা এবং দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কী ইঙ্গিত দেয়?

আমার ধারণা আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে, এমন একটা মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি, যখন আমাদের চিন্তাবিরোধী, বিদ্দ্বজ্জনবিরোধী, অ্যাকাডেমিক বিরোধী হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের মঞ্চে প্রশ্ন করা, বিতর্ক আয়োজন করা, এবং মতামত ব্যক্ত করার ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। প্রাক্তন অধ্যাপকের স্মরণে ভাষণের আয়োজন করার জন্যও অনুমতি নিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যা বোঝায় সে ধারণাকে ধ্বংস করার এই শুরু।

আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ডে বাংলার বিদ্বজ্জনদের হিরণ্ময় নীরবতা

আমরা সারাজীবন ব্যয় করেছি প্রতিটি ছাত্র যাতে প্রশ্ন করে সে ব্যাপারে উৎসাহ দেবার জন্য- কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে তেমনটাই কাঙ্ক্ষিত। প্রশ্ন করার মাধ্যমেই এবং সবকিছুকে প্রশ্ন করার মাধ্যমেই মনের বিস্তার হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন এমন একটা পর্যায় যথন মুক্ত চিন্তা করা যায়, অনিঃশেষ বিতর্ক করা যায়, আলোচনা করা যায়, পৃথিবীর যে কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।

আমার ধারণা, রেজিস্ট্রারের সাম্প্রতিক নির্দেশ এবং এ ধরনের আরও কিছু নির্দেশাবলীর মাধ্যমে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান, যারা ছাত্র এবং যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধিক মর্মস্থল তৈরি করেন, তাঁদের উপর কর্তৃত্ব প্রকাশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ যেন সেই ঔপনিবেশিক সময়কাল, যখন প্রশাসন নজর রাখত কে কী পড়াচ্ছেন- সে সময়ে অনেক রকমের পঠনপাঠন নিষিদ্ধ ছিল, এবং যাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তাঁদের মনে ভয় ধরানোর চেষ্টা করা হত। এই সময়কালে এ পরিবেশ কি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হচ্ছে, নাকি স্বাভাবিকভাবেই এ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে?

এ শুধু জেএনইউতেই ঘটছে না, বেশ কিছু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গবেষণা কেন্দ্রেও এমনটাই ঘটছে। ক্লাসে দুটি বাক্য সমালোচনামূলক বাক্য উচ্চারণ করার জন্য কলেজ শিক্ষকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কেন? সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কেন, যখন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা? নিশ্চিতভাবেই সরাকরি নীতির সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রবিরোধী হওয়া নয়।

আমরা গণতন্ত্র বলতে যা বুঝে এসেছি তার সংজ্ঞা সম্ভবত বদলানো উচিত এবং বদলাতে থাকা উচিত। আমাদের নিজেদের মনে কারনো উচিত যে এর মানে কী।

আমার কাছে এ ঘটনাটা ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এ এমন একটা বিষয় যা অত্যন্ত চিন্তার। এ ভাবে চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। ২০১৫ সালের আগে জেএনইউতে যাঁরা পড়িয়েছিলেন, তাঁদের যদি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে সে পুনর্মূল্যায়ন কেন, তা সহজেই অনুমেয়। তাঁদের বদলে কারা আসবেন অনুমেয় তাও। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইতেই আমরা পড়েছি, ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন সংগঠন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বদলে নিজেদের লোক বসিয়ে থাকে। সমাজে এরকম অনেক সংগঠন রয়েছে, যারা এ পদ্ধতিতেই কাজ করে। এবং ভুললে চলবে না, কল্পবিজ্ঞান ও উন্নততর প্রযুক্তি উভয়েই আসন্ন পৃ্থিবীর রোবটরাজের কথা বলছে।

বুদ্ধিজীবী ও অধ্যাপকদের এখন এলিট হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কেমনভাবে দেখছেন এ বিষয়টা?

আহ! যদি এলিট হতাম! জেএনইউয়ের সাম্প্রতিকতম ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে অ্যাকাডেমিকরা এলিট নন, কারণ প্রশাসন তাঁদের ক্রমাগত অপমান করে চলেছে। হ্যাঁ, বুদ্ধিজীবীরা এক অর্থে এলিট বটে, বুদ্ধিজীবীদের, লেখকদের এবং যাঁরা গণ্ডির বাইরে গিয়ে ভাবতে পারেন, তাঁদের সম্মান করা হয় যে সমাজে সেখানে। আজকাল আমরা এ ধরনের মানুষদের আর্বান নকশাল বলে থাকি, সে শুনতে যতই হাস্যকর হোক না কেন, এবং তাঁদের জেলে পাঠিয়ে থাকি।

বিদ্দ্বজ্জন বিরোধিতার যে মনোভাব এই সমাজে খুব স্পষ্ট আমাদের সে ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। ট্রোলিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বাস উৎপাদন এর একটা চিহ্ন। যত বেশি ইতর ট্রোলিং, তত বেশি কার্যকর। এ একেবারে গোয়েবলসের ফর্মুলা, প্রচুর পরিমাণ মিথ্যা প্রায়শ বলা, কার্যকর ভাবে বলার মাধ্যমে তা সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। যাদের ভাবার ক্ষমতা শূন্য, তারাই যে অটল ভাবে ট্রোল করে যেতে পারে, এ কথাটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মিডিয়াকেও এই দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। কিছু মিডিয়া ট্রোলিংয়েরই নামান্তর হয়ে যায়নি কি! মিডিয়া যা বলে, তা গ্রহণ করে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কতজনের মন তৈরি হয়ে থাকে! বর্তমানে প্রান্তিক হয়ে থাকা যেসব মিডিয়া ট্রোলিংকে উৎসাহ দেয় না, তাদের ভূমিকা বাড়ানোর ব্যাপারে কি আমাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত নয়!

এই বুদ্ধিজীবী বিরোধিতার একটা কারণ হল জনগণকে তাঁদের জীবনযাত্রা কীভাবে উন্নততর হবে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে না। অর্থ রোজগার এবং স্ট্যাটাস প্রতিষ্ঠা করা অন্যায় নয়, তিন্তু মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ভিড়ের শাসনকে নিশ্চিহ্ন করারও একটা দিক তো রয়েছে। সে কারণে সামাজিক ন্যা ও সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এগুলোই তো ভিত্তি। বর্তমান সময়ের উচ্চ মধ্যবিত্তদের রোল মডেল কেবলই অর্থোপার্জন এবং সামাজিক সম্মান প্রতিষ্ঠা।

অন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির কী অবস্থা এ দেশে? ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কীরকম?

সব প্রতিষ্ঠানই একই রকম পরিবর্তনের মুখোমুখি, সামান্য কয়েকজন একে বিপজ্জনক বলে ভাবছেন। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট পরিমাণ চিন্তা ব্যক্ত করছি না। সম্ভবত আমরা বুঝতে পারছি না যে এই প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাধীনতার উপর গণতন্ত্র কতটা নির্ভরশীল। একবার এ স্বাধীনতা খোয়াতে শুরু করলে, অগণতান্ত্রিক সমাজের দিকে আমাদের পতন শুরু হয়। গণতন্ত্রের অর্থই হচ্ছে চাপ দেওয়া, সে চাপ যেখান থেকেই আসুক না কেন। কেউ কেউ অবশ্য বলেন, চাপ সর্বদাই রয়েছে, কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল সে চাপ কি ব্যবস্থার বদল ঘটাতে পারছে নাকি হাওয়ায় চাপ দিচ্ছে!

আমার বক্তব্য হল, শিক্ষার মান যত কমবে, তত কম পরিমাণ মানুষ স্বাধীন ভাবে, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের মান খর্ব হবে, বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের। এর ফলে গণতন্ত্র বিপুল ঝুঁকির জায়গায় পৌঁছে যাবে। মানের কারণে একটি প্রতিষ্ঠানে যদি ক্ষয় হয়, তাহলে তা মেরামত করতে বহু বছর লেগে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেখান থেকেই পেশাদারি দক্ষতা গড়ে ওঠে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিতে হবে এবং আপটুডেট থাকতে হবে। তেমনটা ঘটছে না।

Read the Full Story in English

JNU
Advertisment