রোজভ্যালিকাণ্ডে এবার শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কয়েক কোটি টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিযোগ, চিটফান্ড সংস্থার থেকে হিসেব বহির্ভূতভাবে টাকা নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স বা কেকেআর। এছাড়াও ইডির তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা নাইট রাইডার্স, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও মাল্টিপেল রিসর্ট প্রাইভেট লিমিটেড-এর প্রায় ৭০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। এই তিন সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ১৬.২০ কোটি টাকা রয়েছে বলে ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে।
সেন্ট জেভিয়ার্স, কলকাতা
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম স্পনসর ছিল গৌতম কুণ্ডুর সংস্থা রোজভ্যালি। ২০১২ সাল থেকেই তাই কেকআর-এর সঙ্গে নাম জড়ায় চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির। ইডির ঘোষণার পরই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে কেকেআর ও রেড চিলি এন্টারটেনমেন্ট-এর সিইও ভেঙ্কি মাইশোরের কাছে মেসেজে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তবে তার কোনও জবাব দেননি ভেঙ্কি মাইশোর। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এবং মহিষাদলে মোট চব্বিশ একর জমি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, এক একর জমির উপর জ্যোতি বসু নগরে (নিউ টাউন) একটি সম্পত্তি ও মুম্বইয়ের একটি ফ্ল্যাট।
আরও পড়ুন: রোজভ্যালিকাণ্ড: শহরের পাঁচটি জায়গায় ইডির হানা
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় এফআইআর-এর ভিত্তিতে রোজভ্যালি মামলার তদন্ত চলছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে রোজভ্যালির একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। রোজভ্যালির তরফে মানুষকে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে চার্জশিট ও এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, বাজার থেকে সব মিলিয়ে ১৭,৫২০ কোটি টাকারও বেশি তুলেছিল রোজভ্যালি। তার মধ্যে ১০,৮৫০ কোটি টাকা সংস্থা লগ্নিকারীদের ফেরত দেওয়া হয়। বাকি রয়েছে ৬,৬৭০ কোটি টাকা। যা অপরাধ বলে বিবেচিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে সে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।
Read the full story in English