সোশ্যাল মিডিয়ায় গত দু'দিন ধরে ভাইরাল হয়েছিল ছবি। ট্রেনের নীচে মেরামতের কাজ করছিলেন এক গার্ড। সেই অবস্থাতেই ট্রেন চালিয়ে দিলেন চালক। কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছেন এস এন রায় নামের ওই গার্ড। তাঁর নবজন্ম পাওয়ার পেছনে যে আরপিএফ কনস্টেবলের হাত, সেই স্বরূপ দত্ত এতদিন আড়ালেই ছিলেন। এই কনস্টেবলের তৎপরতাতেই গাড়ি থামিয়েছিলেন চালক।
শুক্রবারের দীঘাগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসে ঘটনাটি ঘটে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ চাঁদমারি স্টেশন এবং হাওড়ার ফুট ব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় মেরামতের জন্য ট্রেন থামানো হয়। ট্রেনের শেষের দিকের দুটি বগি সারাই-এর কাজে ট্রেনের তলায় নামতে হয় গার্ড এস এন রায়কে। এই সময় আচমকা ট্রেন চালাতে শুরু করেন চালক। গোটা মেরামতি প্রক্রিয়া ডিজিটাল প্রমাণ হিসেবে ভিডিওতে তুলে রাখছিলেন আরপিএফ কনস্টেবল স্বরূপ দত্ত ।
আরও পড়ুন, নিচেই কাজ করছিলেন গার্ড, ট্রেন চালিয়ে দিলেন চালক!
ট্রেন চলতে শুরু করলে তৎক্ষণাৎ চালকের উদ্দেশে চেঁচিয়ে ওঠেন দত্ত, -"ড্রাইভার সাহেব গাড়ি আস্তে, গার্ড সাহেব ভেতরে"। ট্রেনের শব্দে চালকের কানে পৌঁছয় না স্বরূপবাবুর চিৎকার। ওয়াকি টকি টেনে নিয়ে একই কথা বলতে থাকেন কনস্টেবল। আর ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীদের কাছে আর্তি জানাতে থাকেন চেইন টেনে ট্রেন থামানোর।
শেষমেশ আরেক কনস্টেবল ট্রেনে উঠে চেইন টানলে ৫০০ মিটার চলার পরেই ট্রেন থেমে যায়। সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন গার্ড। আরপিএফ-এর সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার রজনিশ কুমার বলেছেন, "স্বরূপ দত্তের তাৎক্ষনিক বুদ্ধির জেরেই প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে ওই গার্ডকে।
Read the full story in English