১২ টাকার পরিবর্তে এক কাপ চায়ের দাম ২ হাজার টাকা। ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা সরকারি খাত থেকে অন্যউপায়ে সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা চরণজিৎ সিং চান্নির বিরুদ্ধে। সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো তদন্ত শুরু করেছে।
অর্থ তছরুপের অভিযোগ পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী, রাজবিন্দর, দাবি করেছেন যে পর্যটন বিভাগ দাস্তান-ই-শাহাদত অনুষ্ঠানের অজুহাতে "সরকারি অর্থ লুটপাট" করে এবং তা চান্নির ছেলের বিয়েতে খরচ করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে যে খরচ হয়েছে তা "সামঞ্জস্য" করার জন্য তার বিলগুলি বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
রাজবিন্দর আরও অভিযোগ করেন, দাস্তান-ই-শাহাদত অনুষ্ঠানে এক কাপ চায়ের দাম বিলে ২ হাজার টাকা দেখানো হয়। যেখানে পাঞ্জাব নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারিত প্রতি কাপ চায়ের দাম ১২ টাকা বেঁধে দেয়।
অভিযোগে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্নির ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যে খরচ হয়েছে তা ব্যালেন্স করতেই করতে দাস্তান-ই-শাহাদত অনুষ্ঠানের অজুহাতে "সরকারি অর্থ লুটপাট" করা হয়। সে সময় পর্যটন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। অভিযোগকারী অভিযোগ করেছেন যে পর্যটন বিভাগ "নির্ধারিত নিয়ম লঙ্ঘন করে দরপত্র জমা নিয়ে ১.৪৭ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দ করে।
আরও পড়ুন: < ভাল ‘প্রতিবেশী সম্পর্ক’ বজায় রাখতে আগ্রহী ভারত, কিন্তু…..! স্পস্ট বার্তা জয়শঙ্করের >
পাঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো শুক্রবার ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত দাস্তান-ই-শাহাদাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে সময় বিল বাড়িয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠানে ১.৪৭ কোটি টাকা অতিরিক্তি আদায় করা হয়েছে। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ছেলের বিয়ের এই টাকা খরচ করা হয়। বিয়ে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগেও স্পোর্টস কিট বিতরণে চান্নি সরকারের জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চান্নি বলেন ‘পাঞ্জাব সরকার রাজনৈতিক মোকাবিলা করার বদলে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছে। আমার নামে বদমান রটাচ্ছে। আমার সম্পত্তির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।